অঙ্কুশকে নিয়ে অকপট বিক্রম
১১ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। অঙ্কুশ কী যে অসহ্য! একেক সময় মনে হয়, ঘাড় থেকে নামাতে পারলে বাঁচি। ওর জ্বালায় জেরবার আমি। অনেকেই জানতে চান, আমার সঙ্গে কী করেন অঙ্কুশ? তাঁদের বলব, জিজ্ঞাসা করুন, কী না করে? ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ রিয়্যালিটি শো-তে একসঙ্গে কাজ করেছি। যাঁরা ওই শো দেখেছেন নিয়মিত, তাঁরা আন্দাজ করতে পারবেন আমাদের মধ্যে কী চলে! ওটা তাও পর্দায়, ক্যামেরার সামনে। ঘরে চার দেওয়ালের ভিতরে কোনও সেন্সর নেই। ফলে, লাগামছাড়া কথাবার্তা, ইয়ার্কি, গালাগালি সব চলে। গলাগলিও হয় একই ভাবে।
জ্বালাতনের ছোট্ট উদাহরণ। আমার সহ-অভিনেতা বন্ধুটি গত রাতের হুল্লোড়ে আমাদের ডেকেছিলেন। আমি ঐন্দ্রিলা এবং আরও জনাপাঁচেক ছিলাম। পিৎজা, চিকেনের পদ সহ চার-পাঁচ রকমের খাবার খাইয়েছে। আর কেক কাটা। ব্যস পার্টি খতম! ভাবছেন, ১১ বছরের বন্ধুর জন্য আমিই বোধ হয় কেক নিয়ে গিয়েছিলাম! একেবারেই না। আগে ও সব ঢের করেছি। আর নয়। আমি শুধুই পার্টি উপভোগ করেছি। এমনও হয়েছে, জন্মদিনের দিন আর কোনও পার্টিই নেই! খানাপিনাও নেই। আমি শ্যুটে ব্যস্ত। অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকেও নাকি কোনও এক অনুষ্ঠানে যেতে হবে। এ ভাবেই পয়সা বাঁচায় আমার হাড়কিপটে বন্ধু! এমন মানুষকে কে উপহার দেবে? তা ছাড়া, অঙ্কুশ তো উপহার পেয়েই যাচ্ছে। জন্মদিনে ওর দু-দুটো ছবির পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। একটি রাজা চন্দের ‘সেভিংস অ্যাকাউন্ট’। যেখানে পিস্তল হাতে অভিনেতা। ওর পিঠের দিকে তাক করা দো-নলা বন্দুক, রিভলবার! পোস্টার বলে দিচ্ছে, ছবিটি অ্যাকশনধর্মী। অন্যটি, সুরিন্দর ফিল্মসের ‘লাভ ম্যারেজ’। এখানে ফের জুটি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। আদ্যন্ত মজার ছবিতে আরও এক জুটি রঞ্জিত মল্লিক-অপরাজিতা আঢ্য।সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত পাখি-ও মুক্তি পাবে আগামী গরমের ছুটিতে। পরিচালনায় বাবা যাদব। বিপরীতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
যাঁরা এতটা পড়ে ভাবছেন, এতদিনের বন্ধু সম্পর্কে এ কী বলছেন বিক্রম? তাঁদের বলি, যা বলেছি পুরোটাই মজার ছলে! যাঁরা অঙ্কুশের সঙ্গে মিশেছেন তাঁরা জানেন, ও প্রচণ্ড বন্ধুবৎসল। যে হারে দামি দামি গাড়ি কেনে, কিপটেমি না করে উপায় কী বেচারার? সব পয়সা তো ওখানেই ফুরিয়ে যায়! নিঃসন্দেহে ও ভাল অভিনেতাও। শুধু নাচ আর কৌতুকাভিনয় দিয়ে তো এত জনপ্রিয়তা পাওয়া সম্ভব নয়! নিজেকে বারবার প্রমাণ করছে প্রতিটি ছবিতে। এখন যেন আরও বেশি। ওর ‘ম্যাজিক’, ‘জুলফিকর’ আমায় টানে। আর টানে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে অঙ্কুশের জুটি। ‘ম্যাজিক’-এর আসল ম্যাজিক তো ওরাই।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল, ভ্যালেনটাইনস ডে-তে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার প্রেম ১১ বছর পূর্ণ করে ফেলল! তারও উদ্যাপন বোধ হয় করছে ওরা। আমার বলতে ইচ্ছে করছে, নে ভাই, অনেক হল। এবার তো বিয়ে কর! এ ভাবে আর নেওয়া যাচ্ছে না। যদিও আমার সঙ্গে ঐন্দ্রিলার আগে বন্ধুত্ব। তার পর অঙ্কুশ এসেছে। ভাগ্যিস অঙ্কুশের সঙ্গে ঐন্দ্রিলা জুড়ে গিয়েছে! না হলে আমাকেই অঙ্কুশের ‘জীবনসঙ্গিনী’ হয়ে কাটাতে হত। এত অসহ্যকে কোন মেয়ে সহ্য করবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy