অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার কলকাতা-কাশ্মীরকে জুড়লেন তিনি। কঠিন সময়ে একই সঙ্গে দেশের ২ প্রান্তের অসহায় মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। মায়ের নামে তাঁর স্বেচ্ছ্বাসেবী সংগঠন ‘অপর্ণা ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে ভাস্বর জানিয়েছেন, ‘‘শনিবার নিজের হাতে নিউ আলিপুরে ৮০ জনের খাবারের বন্দোবস্ত করলাম।’’ একই দিনে অর্থ সাহায্য পাঠালেন কাশ্মীরী ক্রিকেটার বন্ধু সৈয়ম মুস্তাফার কাছে। যা দিয়ে সেখানকার কিছু মানুষের অন্নসংস্থান হবে। প্রতি মাসেই তিনি এ ভাবে পাশে আছেন ভূস্বর্গের বাসিন্দাদের। আগামী দিনে যৌনকর্মীদের জন্যও কাজ করার ইচ্ছের কথা জানালেন তিনি।
বাকিদের মতোই ভাস্বরও বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলেন, দুঃসময়ে কী ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন? তখনই অভিনেতা নিউ আলিপুরে তাঁর এক অতি পরিচিতের থেকে ডাক পান। ‘‘বন্ধু ডাকতেই আর দ্বিধা করিনি। নিজে হাতে খাবার পরিবেশন করলাম। সবাই কোভিড বিধি মেনে, লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিলেন। ভীষণ তৃপ্ত আমি’’, জানালেন তিনি। দুটো খবরই ভাস্বর নিজের সামাজিক পাতাতেও অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। অভিনেতার দাবি, খবর প্রকাশ্যে আসতেই বহু মানুষ যোগাযোগ করেছেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। অভিনেতার ক্ষোভ, কলকাতার মতোই কাশ্মীরেও অসংখ্য দরিদ্র মানুষের বসবাস। দেশের বাকি অংশের মানুষ তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ান না। কারণ একটাই, ধর্মের সংকীর্ণতা। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের বাসিন্দারা সৈয়ম মুস্তাফার মারফত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষকে।
সবাই এ ভাবে সাহায্য করলে কালীঘাট, সোনাগাছি সহ কলকাতার একাধিক যৌনপল্লিতেও তিনি পৌঁছে যাবেন, জানালেন ভাস্বর। ‘‘শুধু নিউ আলিপুর নয়, আমি সারা কলকাতায় ছড়িয়ে পড়তে চাই। খুব ইচ্ছে আছে, যৌনকর্মীদের জন্য কাজ করার। কারণ, লকডাউনে তাঁদের উপার্জন বন্ধ। তাঁদের সাহায্য করারও কেউ নেই’’, আফসোস তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy