রূপঙ্করকে কটাক্ষ ভাস্বরের।
রূপঙ্কর বাগচীর মুখে ‘আত্মহনন’-এর মতো শব্দ! বুধবার পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় প্রথম বিষয়টি নিয়ে বলেছেন। এ বার সরব অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও। একই দিনে তিনিও ফেসবুকে তোপ দেগেছেন, ‘গায়ক মেগা করছেন যখন তখন টিকে (সারভাইভ) যাওয়ার তো কথা! আত্মহত্যা (সুইসাইড) করবেন কেন?’
রূপঙ্কর শুধুই নিজের কথা বলেননি। বলেছেন, সমগ্র শিল্পী এবং বাদ্যযন্ত্রীদের কথা। তাঁর বক্তব্যই ছিল, এ ভাবে যদি নাগাড়ে চলতে থাকে তা হলে গান-বাজনা ছেড়ে শিল্পীরা অন্য পেশায় চলে যেতে শুরু করবেন। যাঁরা নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা টিকে যাবেন। যাঁরা পারবেন না বা কাজ খুঁজে পাবেন না, তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন! গায়কের এই উদ্বেগ ধরা পড়েছে মনোময় ভট্টাচার্য, ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়ের কথাতেও। তা হলে কেন রূপঙ্কর একা কটাক্ষের শিকার? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের জবাবে ভাস্বরের যুক্তি, ‘‘রূপঙ্করদার মতো শিল্পীর মুখে আত্মহত্যা শব্দটা মানায় না। এটাই আমায় ব্যথিত করেছে। শিল্পী আজীবন জীবনমুখী। তাঁর কথায় ‘মৃত্যু’ শব্দের ব্যবহার শোভা পায়?’’ ভাস্বরের আরও দাবি, আত্মহত্যা মানে সব শেষ। মানুষকে তো শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। অভিনেতা এও জানান, স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ রূপঙ্কর বেশ কিছু দিন অভিনয় করেছেন। অর্থাৎ, তিনি অভিনয়ের মাধ্যমেও উপার্জনে সক্ষম। এর পরেও কেন আত্মহত্যার কথা বলবেন!
রূপঙ্করের শব্দ ব্যবহার নিয়ে আপত্তি থাকলেও ভাস্বর নিজেও অবশ্য প্রায়ই কটাক্ষের শিকার হন। কিছু দিন আগেই তাঁর বাইরে যাওয়া, কাশ্মীরী গান গাওয়া নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।অনেকে ভেবেছিলেন অভিনেতা অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন! অভিনেতার কথায়, নিন্দকেরা বলতে চেয়েছেন, কাজের বদলে ইদানীং এই সবই করছেন তিনি। সেই ভাস্বর অন্য এক শিল্পীকে কটাক্ষ করছেন! বিষয়টি কত খানি যুক্তিযুক্ত?
অভিনেতা এ বারেও স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এক জন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া শিল্পীকে কটাক্ষ করার স্পর্ধা আমার নেই। তবে এটাও বাস্তব, অন্য পেশার ব্যক্তিত্বরা প্রয়োজনে ধারাবাহিকে অভিনয় করে উপার্জনের পথ খোলা রাখেন। রূপঙ্করদাও সেটাই করেছেন। প্রয়োজনে আগামী দিনেও হয়তো করবেন। এবং নাটক বা ছবির থেকে বেশি উপার্জন করা যায় ধারাবাহিক থেকে। অথচ অভিনেতারা গানের দুনিয়ায় পা রাখতে চাইলে কিন্তু সুযোগ পান না! তার পরেও তাঁরা কিন্তু এই ধরনের কথা কখনও বলেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy