অভিনেত্রীকে বিয়ে করে স্বামী হিমালয়া দাসানিকে অনুরাগীদের ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
১৯৮৩ সালে সুরজ বরজাতিয়ার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ভাগ্যশ্রী। প্রথম ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিট। তার পরেও সম্ভাবনাময় কেরিয়ার ছেড়ে বিয়ে করে ঘরকন্নায় মন দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী জানান, অভিনেত্রীকে বিয়ে করে স্বামী হিমালয় দাসানিকে অনুরাগীদের ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, “আমার বয়স তখন মাত্র ১৯। বুঝতে পারিনি, আমি যা পেয়েছি তা পাওয়ার জন্য মানুষকে সারা জীবন পরিশ্রম করতে হয়।”
আফসোসের সুর ঝরে পড়ছে অভিনেত্রীর গলায়, “বেচারাকে হয় তো আমার সব ভক্তরা গালিগালাজ করেছে। কারণ তারা ভাবে, ও আমাকে বলিউড থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যখন ওকে সবাই উল্টোপাল্টা কথা বলছিল, তখন আমিই ওকে ভালবেসেছিলাম।”
আরও পড়ুন: ‘আই লাভ ইউ বেবি’ গানের সঙ্গে কেন ভিকট্রি সাইন দেখালেন রানিমা?
ভাগ্যশ্রী মনে করেন, সেই সময় তাঁদের দু’জনেরই বয়স অল্প ছিল। ফলত ভাগশ্রী ‘আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু’ হবেন, এই ভাবনা কোথাও একটা হিংসার উদ্রেক করেছিল হিমালয়ের মনে। বিয়ের পর তাই সুরজ বরজাতিয়ার একাধিক কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি ছবির গল্প পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে রাজি হননি তিনি। স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলেও ভাগ্যশ্রী জানিয়ে দিতেন, তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। তার পরেও অভিনেত্রীর কাছে ফিরে আসতেন পরিচালক। এক বার নয়, সাত-সাত বার অভিনয়ের জন্য রাজি করাতে ফিরেছেন ভাগ্যশ্রীর কাছে। অভিনেত্রীকে খুশি করার জন্য প্রত্যেক বার স্ক্রিপ্টে নানা রকম পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও নানা অজুহাত দেখিয়ে সুরজকে না বলেছিলেন ভাগ্যশ্রী।
তবে বেশ কিছু বছর আগে কামব্যাক করেছেন ভাগ্যশ্রী। ‘লউট আও তৃষা’ শীর্ষক ধারাবাহিকে নতুন করে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার প্রভাসের ‘রাধে-শ্যাম’ এবং কঙ্গনা রানাউতের ‘থালাইভি’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: সিগারেট খাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হলে কী হতে পারে? মুখ খুললেন শ্রীলেখা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy