বকুল এবং ঋষির কেমিস্ট্রি।
চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় অনেকটা ওপরে উঠে এল ‘বকুল কথা’। বছর খানেক আগে ন’সপ্তাহ তালিকার শীর্ষে ছিল ধারাবাহিকটি। পরে একেবারে ওপরের দিকে আসতে না পারলেও টিআরপি-র ক্ষেত্রে বরাবর ধারাবাহিক থেকেছে ‘বকুল কথা’। এই সপ্তাহে ‘কৃষ্ণকলি’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ এবং ‘ত্রিনয়নী’র পরেই ধারাবাহিকের হিসেবে চতুর্থ স্থান চলে এল ‘বকুল কথা’। রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি’-কে ধরলে অবশ্য ‘বকুল কথা’র স্থান পঞ্চম। গত সপ্তাহেও রেটিং দেখে ধারণা করা যায়নি এতটা ওপরে আসতে চলেছে এই ধারাবাহিক। এই উত্থানের কারণ কী?
‘বকুল কথা’র পরিচালক সৌমেন হালদারের মতে, “গল্প ভাল। এতদিন ধরে দর্শক চাইছিল কুণাল-বর্ষার গল্পের একটা কোনও পরিণতি হোক। এ বার ওদের পুরো ডিটেলসটা ধরা পড়লো। দর্শকদের সেটা ভাল লেগেছে। দর্শককে ছুঁতে পেরেছি, এতে সত্যিই খুব ভাল লাগছে।”
ধারাবাহিকের নায়ক হানি বাফনা যোগ করলেন, “হয়তো ঋষি আর বকুল সিরিয়ালের গল্প লিড করে। কিন্তু আমার মনে হয় কুণাল-বর্ষার জুটিটা আমাদের থেকে অনেক ইম্পরট্যান্ট। ওরা এত ভাল করেছে, ওদের এত ভাল কেমিস্ট্রি... আমার মনে হয়, ওরা না থাকলে ‘বকুল কথা’ এত ভাল করতে পারত না।”
কুণাল-বর্ষা (শুভজিত কর-উপনীতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এই নিয়ে তৃতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে। কুণালই যে কেশব আর তার সঙ্গেই যে বর্ষার আগে বিয়ে হয়েছিল দু-একজন ছাড়া কেউই জানে না। সেই দু-একজনকে কুণাল প্ল্যান করে বিয়ের আসর থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এ দিকে বর্ষা শেষ করে দিতে চায় বকুলের সংসার। তার সঙ্গেই তো ঋষির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষার চক্রান্তে ঋষির বিয়ে হয় বকুলের সঙ্গে। ঋষি মনে করে বর্ষা আত্মত্যাগ করেছে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। বিয়ের আসরের ঠিক আগে বকুল ও ঋষি ধরে ফেলে চক্রান্ত। ধরা পড়ে যায় কুণাল ও বর্ষার চক্রান্ত। এতদিনে দর্শক জানতে পারে তাদের বিষয়ে যাবতীয় ঘটনা। এ দিকে ঋষির ভাগ্নে ডাব্বু (ঈশান রায়) ঋষির বাবা শেখর (সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়) অপহৃত হন। বকুল যায় উদ্ধার করতে। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা ‘বকুল কথা’-য়। এই গল্পই টিআরপি তালিকায় অনেকটা এগিয়ে দিল ধারাবাহিকটিকে।
আরও পড়ুন-প্রেগন্যান্সির সাড়ে সাত মাস পর্যন্তও শুটিং করেছি: পায়েল
আরও পড়ুন-সংসারে এল নতুন অতিথি, বাবা হলেন কপিল শর্মা
কুণাল-বর্ষা (শুভজিত কর-উপনীতা বন্দ্যোপাধ্যায়)
কেমন লাগছে? গল্পের বকুল ঊষসী রায় বললেন, “খু...ব ভাল লাগছে। এ রকম একটা টিআরপি, এটা তো সামান্য কথা নয়। সবার পরিশ্রম, টিম ওয়ার্ক সঙ্গে ছিল বলেই এই জায়গাটা এতদিন ধরে রাখতে পেরেছি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব, এ রকম ভাবেই যেন চলতে থাকে। শিল্পী হিসাবে আমার কাছে এটা প্রচণ্ড মোটিভেটিং।”
টিআরপি তালিকায় এই রেটিং ধরে রাখা যাবে বলে মনে হয়? পরিচালক বললেন, “কঠিন প্রশ্ন। তালিকা দেখে তো আমরা শুটিং করি না। আগে থেকে বোঝাও যায় না। আমাদের পরিশ্রমে কোনও খামতি থাকে না। যখন প্রথম ছিলাম তখনও যে ভাবে কাজ করতাম, এখনও সে ভাবে করি।”
হানি বললেন, “টিআরপি-তে উপর-নীচ হতেই থাকে। প্রথম দিন থেকে আমরা একটা টানা টিআরপি দিয়ে আসছি। এটা তখনই হয় যখন একটা ভাল ভিউয়ার বেস থাকে। সিরিয়ালে যা-ই হোক না কেন তারা দেখবে। আগে আমাদের গল্পে এমন জায়গায় হিট করেছি যে দর্শক ছাড়তে চায় না। ভাল বা খারাপ যা-ই লাগুক, দর্শক দেখে। আমরা এটা অর্জন করেছি। সেই কারণেই ধারাবাহিক টিআরপি আছে।”
(মুভি ট্রেলার থেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy