মাফিন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
‘টাপুর টুপুর’, ‘আঁচল’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’, ‘কিরণমালা’, ‘নিশির ডাক’— একটা সময় একের পর এক সিরিয়ালে অভিনয় করে গিয়েছেন। বিশেষত নেতিবাচক চরিত্রে তাঁকে দেখতেই অভ্যস্ত দর্শক। মাঝে অনেক বছর হল অভিনেত্রী মাফিন চক্রবর্তীকে পর্দায় দেখেনি দর্শক। বাংলা সিরিয়ালের দাপুটে অভিনেত্রী কি তবে হারিয়ে গেলেন? এমন অনেক প্রশ্নই উঠেছিল। তবে ইদানীং তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘সাহিত্যের সেরা সময়’ নামক একটি সিরিয়ালে। ২০০৫ সালে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি। ১৭ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর কেন তাঁকে সে ভাবে দেখা যায় না?
আনন্দবাজার অনলাইন হাজির হয়েছিল তাঁর ‘সাহিত্যের সেরা সময়’-এর সেটে। এখন তিনি কামালগাজিতে থাকেন। শুটিং থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব খুবই কম। শুটিং শেষে রূপসজ্জার ঘরেই বসে ছিলেন অভিনেত্রী। ছোট পর্দা থেকে তাঁর সরে আসার প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, “আসলে জনসংযোগ রাখার কৌশলটা এখনও আমি আয়ত্ত করতে পারিনি আমারই দোষ হয়তো। সবাই বলেন এখন যে আমি হারিয়ে গিয়েছি। কিন্তু সেটা না। বিয়ে করে বরের সঙ্গে বিদেশে চলে গিয়েছিলাম। মাঝেমাঝে মনে হয় নিজেরই দোষ।” এত বছর ধরে কাজ করার পরেও তেমন ভাবে তাঁকে পর্দায় দেখা যায় না। ‘টাপুর টুপুর’ সিরিয়ালে তাঁর অভিনীত পায়েল চরিত্রটি পেয়েছিল বিপুল জনপ্রিয়তা। তার পর অনেকেই আশা করেছিলেন, এ বার হয়তো মাফিনকে আরও বেশি করে পর্দায় দেখা যাবে। কত নতুন মুখ এখন পর পর কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে কম সুযোগ আসা কি কখনও তাঁকে ভাবায়? মাফিন বলেন, “অবশ্যই খারাপ লাগে। দেখুন, কেরিয়ারের প্রথম দিকে কাজ কম এলে অপেক্ষা করতে হলে অসুবিধা হয় না। কিন্তু কেরিয়ারের ১৬ বছর পর যদি সুযোগের অপেক্ষা করতে হয় সেটার থেকে খারাপ আর কিছু হয় না।”
অভিনয় ছাড়াও মাফিনের একটি নাচের স্কুল রয়েছে। তাই অভিনয়ে কম সুযোগ এলেও তাঁর অবসাদ হয় না। বিদেশেও নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। আপাতত শুটিং ছাড়া তিনি নিজের নাচের স্কুল নিয়ে খুব ব্যস্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy