৫০০ এপিসোড পেরিয়ে বকুল কথা।
পায়ে পায়ে পাঁচশো। ‘বকুল কথা’ পেরিয়ে এল পাঁচশো এপিসোড! এতটা পথ হাঁটা কী ভাবে সম্ভব হল?
নায়িকা বকুল, মানে ঊষসী রায় গুরুত্ব দিলেন কাহিনিকেই, ‘‘বকুল কথা’র গল্পটা তো প্রচন্ড ইউনিক, যেটা সবাই অ্যাকসেপ্ট করেছে। এই রকম একটা আলাদা গল্প, যেটা কোনও দিনও হয়নি, দর্শক কোনও দিন দেখেনি... সেই আগ্রহেই দর্শক বার বার টিভি খুলে সিরিয়ালটা দেখে। সেই কারণেই আমার মনে হয় যে এতগুলো এপিসোড আমরা কমপ্লিট করতে পারলাম। অ্যাক্টর, টেকনিশিয়ানস, সবার প্রচেষ্টাতেই আমরা এগোতে পেরেছি।”
এতগুলো এপিসোড পেরিয়ে আসতে নায়ক-নায়িকা জুটির পারফরম্যান্স, কেমিস্ট্রি কি ম্যাটার করে? ঊষসী মানতে নারাজ, “সিরিয়ালের প্রোটাগনিস্ট হচ্ছে গল্প। গল্প ভাল হলে সিরিয়াল ভাল হতে বাধ্য। অন্যরা কী বলবেন জানি না, কিন্তু পাঁচশো এপিসোডের ক্রেডিট আমি নিতে পারবো না। ক্রেডিট পুরো টিমের।”
জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে বকুল কথা
এত দূর হেঁটে আসা কতটা কঠিন? নায়ক ঋষি, অর্থাৎ হানি বাফনা শেয়ার করলেন, “সহজ, আবার কঠিনও। সহজ এই কারণে যে আমাদের টিম খুব ভাল। সবার তরফ থেকে কোঅপারেশন আছে, কোঅর্ডিনেশন আছে। কঠিন অন্য দিক থেকে যে এতগুলো সিরিয়াল চলছে... দুটো/তিনটে লিডিং চ্যানেল যদি ধরি যাদের মধ্যে কম্পিটিশন হয়... তিরিশ/চল্লিশটা সিরিয়াল তো ইজিলি বেরোবে। তার মধ্যে থেকেও বরাবর লাইমলাইটে থাকা, হেলদি টিআরপি রেটিং বজায় রাখা অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ খুব কম্পিটিশন। কিন্তু, আমরা দর্শকের ভালবাসা পেয়েছি। অবশ্যই আমাদের গোটা টিমের খাটনি আছে তার পিছনে। এই দিকটা খুব ভাল।”
পাঁচশোর পরে কী? হানি ভাল কাজে বিশ্বাসী, “আমি টার্গেট কিছু করছি না। কিন্তু যে ভাবে এগোচ্ছি আমরা খুব ভাল নাম্বারেই থাকবো। আলাদা করে কোনও টার্গেট নেই যে সেভেন ফিফটি করতেই হবে, থাউজ্যান্ড করতেই হবে। ভাল কাজ করতে চাই। করছি। সেটাই যেন শেষ দিন পর্যন্ত করতে পারি। পাঁচশো হয়েও শেষ হতে পারে, পাঁচ হাজার হয়েও শেষ হতে পারে।”
৫০০ পর্ব পেরিয়ে বিশেষ উদযাপন।
ধারাবাহিকের পরিচালক সৌমেন হালদার যোগ করলেন, “সিরিয়াল যখন চলতে শুরু করে প্রত্যেকেরই তো একটা এক্সপেকটেশন থাকে যে অনেক দিন যেন চলে। তো তার ফার্স্ট মাইলস্টোন হয় পাঁচশো এপিসোড এবং দর্শকদের পছন্দ, কঠোর পরিশ্রম, টিম ওয়ার্ক... সবার আগে যেগুলো দরকার... সেই সমস্ত নিয়ে যখন পাঁচশো এপিসোড হয় তখন খুব ভাল লাগে যে একটা প্রজেক্ট স্বীকৃতি পেল। এক জন পরিচালক হিসেবে দর্শক, প্রযোজক, টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাবো।”
‘অ্যাক্রোপলিস’-এর অন্যতম প্রযোজক স্নিগ্ধা বসু এ বিষয়ে কী ভাবছেন? তাঁর কথায়: “রেগুলার যে রকম প্রোটাগনিস্টকে দেখে থাকি... সব কিছুই তারা জানে, সব কিছুই তারা বোঝে... ঠিক যেন মনে হয় ঠাকুর একেবারে রেডিমেড পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বকুল একেবারেই রেগুলার প্রোটাগনিস্টদের থেকে আলাদা। সে বাইরেটা বোঝে, ঘর সামলানোটা অত বোঝে না। মোড়কটা ডিফারেন্ট হলে গল্পটা বলতে সুবিধা হয়, অডিয়েন্সের ভাল লাগে।... দেড় বছরে পাঁচশো এপিসোড পেরিয়ে যাবো সেটা কোনও দিনই ভাবনাতে ছিল না। কিন্তু ভীষণ স্মুদ জার্নি হয়েছে। কারণ আর্টিস্টরা ভীষণ ভাল, চ্যানেলের সঙ্গে সব সময় খুব সুন্দর একটা বোঝাপড়া থেকেছে অ্যাক্রোপলিসের। ওরা খুব স্পেস দেয়। ভাল গল্প বলার জন্য যে সাপোর্ট লাগে সেটা ওরা করে। সেটা এক জন প্রোডিউসারের ক্ষেত্রে খুব স্মুদ হয়ে যায়। সে জন্যই অন্য রকম গল্প বলতে পেরেছি।”
এর পরে কী ভাবে গল্প এগোবে? স্নিগ্ধা বললেন, “গল্পটা হাফ বলা হয়েছে, হাফ বাকি। সেগুলো নিয়েই এগিয়ে যাব।”
মানে হাজার এপিসোডে পৌঁছনোর টার্গেট? তিনি হাসলেন, “সেটা নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। বাকি গল্প এখন ডিসক্লোজ করতে পারব না। দর্শক ‘বকুল’কে খুব ভালবেসেছেন। তবে দেখুন, মানুষের তো পেসেন্স নেই... ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চলে এসেছে... স্মার্ট ফোন... তাদের কাছে অনেক কিছু আছে। আমার মনে হয় যে ইয়ং জেনারেশন টিভি দেখে না। জানি না, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কত দূর কতখানি এগোতে পারব। ‘অগ্নি পরীক্ষা’ (১৫৫০ এপিসোড), রাশি (১৪০০ এপিসোড), ‘বধূবরণ’ (১৩০০ এপিসোড) মিলিয়ে তিন হাজার এপিসোড ক্রস করার পালক অ্যাক্রোপলিস-এর মাথায় আছে। দেখা যাক ‘বকুল’ কত দূর যেতে পারে।”
বকুলের বাবার মৃত্যু প্রাথমিক ভাবে স্বাভাবিক মনে হলেও পরে অস্বাভাবিকতার কিছু প্রমাণ হাতে আসে বকুলের। সন্দেহের তালিকার মানুষগুলোকে সে আবিষ্কার করে বাড়িতেই। তা হলে কি গোয়েন্দাগিরিতে হাত পাকাবে বকুল? জবাব মিলবে পরবর্তী এপিসোডগুলোয়।
আরও পড়ুন: নিঃস্ব অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছিল এই ক্যাবারে-রানির
আরও পড়ুন: অসময়ে চলে যাওয়া কৃত্তিকা পাল বেঁচে রইল চৈতালির গানে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy