অনীক দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
ভোটগণনা চলছে পুরোদমে। নানা দিকে চলছে বিভিন্ন আলোচনা, যুক্তিতক্কো। বিবিধ মতামত রাখছেন রাজনীতিবিদ ও বিনোদন দুনিয়ার মানুষ। আনন্দবাজার অনলাইনের একটি আলোচনাসভায় রাজনীতির ময়দানে ধর্মের ব্যবহার নিয়ে বক্তব্য রাখলেন অনীক দত্ত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “মোদী ম্যাজিক কি ফিকে হয়ে আসছে?” সম্মতি জানিয়ে পরিচালকের উত্তর, “মানুষ মূর্খ হলেও কিছুটা তো বোঝে!”
এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, ভোটের মরসুমে উত্তরপ্রদেশে জনৈক সাংবাদিক এক নিম্নবিত্ত মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, “গ্যাসের দাম ক্রমবর্ধমান। আপনি কাকে ভোট দেবেন?” জবাবে সেই মহিলা বলেন, “গ্যাসের দাম যদি আরও বাড়িয়ে দেয়, তা-ও মোদীকেই ভোট দেব। কারণ উত্তরপ্রদেশ রামের রাজ্য।’’ ঘটনা নিয়ে পরিচালকের বক্তব্য, “একটা কথা আছে, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ভক্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে!”
অন্য দিকে বামপন্থীদেরও সমালোচনা করলেন তিনি। বললেন, “কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো ও দাস ক্যাপিটালকে এঁরা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, যেন বাইবেল আর কোরান। এত দৃঢ়তার কী আছে! এই জন্য বামপন্থার এই অবস্থা!”
অনীক দত্তের মতে, “ধর্ম তুলে নিলেই কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভ্যানিশ হয়ে যাবে। ক্রুশেডের সময় থেকে বর্তমানে ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন, সব ক্ষেত্রে ধর্মের ছোঁয়া।” তিনি মনে করেন, ধর্ম বেডরুমের অন্দরের বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে যদি মানুষের মন থেকে ধর্মের ধারণা মুছে ফেলা যায়, তা হলে একাধিক রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সংবিধানে থাকা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ নিয়ে আপত্তি তুললেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “রাজ্যকে ধর্মহীন হতে হবে। ‘ধর্ম’ শুনে বলতে হবে এটা আবার কী শব্দ? এটা তো কখনও শুনিনি।” তিনি আরও বললেন, “স্থাপত্য হিসাবে মন্দির, মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ করছে ঠিক আছে। কিন্তু কোটি কোটি টাকা খরচ করে এ সব কী হচ্ছে? দুর্গাপুজোর অনুদান, ইমাম ভাতা দেওয়া প্রায় অপরাধের মতো।” মানুষকে বোকা বানানোর নানা পন্থা এগুলি, মত পরিচালকের। বললেন, “মনুষ্য জাতির নব্বই শতাংশ বোকা লোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy