তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সম্প্রতি বান্ধবী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়কে নিয়ে রাজস্থানের অজমের শরিফ দরগায় প্রার্থনা করতে যান তনুশ্রী চক্রবর্তী। আরজি কর আবহে শহরে এখনও অস্থিরতা। তার মাঝেই শান্তির খোঁজে কয়েক দিনের বিরতি নেন অভিনেত্রী। ভাগ করে নিলেন অভিজ্ঞতা।
বুধবার শহরে ফিরেছেন তনুশ্রী। জয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তনুশ্রী এবং শ্রাবন্তী। অভিনেত্রী জানালেন, আগে থেকে সেই মতো শ্রাবন্তীর সঙ্গে তিনি অজমের শরিফ দর্শনের পরিকল্পনা সেরে ফেলেন। সঙ্গে ছিলেন তনুশ্রীর মা। জয়পুর থেকে ১৩০ কিলোমিটারের পথ। অজমের শরিফ ছাড়া নিকটবর্তী পুষ্করেও পুজো দেন দুই অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে তনুশ্রী বললেন, “আমি আগেও অজমের শরিফ দর্শন করেছি। তবে এ বার শ্রাবন্তীর সঙ্গে গেলাম। আমার মা-ও ছিলেন, তাই এ বারের দর্শন অনেক দিন মনে থেকে যাবে।”
আরজি করের ঘটনার জন্য শহরবাসীর মতো তনুশ্রীরও মন ভাল নেই। অজমের শরিফে সেই জন্যই গিয়েছিলেন তিনি। তনুশ্রীর কথায়, “সত্যি বলছি মেয়েটি যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্যই প্রার্থনা করেছি। আমাদেরই তো শহরের একটা মেয়ে। তার সঙ্গে যা ঘটেছে, ভাবলেই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
পুজো আসছে। তারকাদের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে। পাশাপাশি চলছে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। তারকাদের কাজে ফেরা প্রসঙ্গে কী মত তনুশ্রীর? অভিনেত্রী বললেন, “অভিনেতার কাজ মানুষকে বিনোদন জোগানো। তাই কাজ হয়তো করতেই হবে। তার মানে আবার এটা নয় যে, প্রতিবাদ কমে যাবে।” আরজি কর-কাণ্ডের জেরে তারকাদের নিয়ে নিত্য কটাক্ষ চোখে পড়ছে। তনুশ্রীর মতে, বাস্তবকে ভুলে গেলে চলবে না। বললেন, “আমাদেরও পরিবার রয়েছে। তাই পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকেই কাজ করতে হবে। তার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই তো তারকারাও প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন।”
তনুশ্রী জানালেন, চলতি বছরে পুজোর আগে একাধিক অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় পুজো সম্পর্কিত কাজের প্রস্তাবও কম আসছে। কিন্তু তাতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। বরং বললেন, “পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই তারকারা একাধিক কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান। ফলে ইচ্ছে না থাকলেও সেগুলো করতেই হবে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। কিছু করার নেই।”
পুজো নিয়ে এই বছর ব্যক্তিগত জীবনে তুনশ্রীর কী পরিকল্পনা? বললেন, “চারপাশে যা দেখছি, তার পর কোনও পরিকল্পনা করার ইচ্ছা নেই। কেনাকাটাও কিছুই করতে চাই না। মনের মধ্যে একটাই ইচ্ছা, অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়।” তবে তনুশ্রী যে দুর্গাপুজোর বিরোধী নন, সে কথাও স্পষ্ট করলেন। তাঁর কথায়, “যাঁর ইচ্ছে রয়েছে, তিনি অবশ্যই ঘটা করে শারদীয়ায় মাতবেন। কারণ, বছরে এক বার দুর্গাপুজো আসে। ভেবে দেখতে হবে, সেটাও কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy