নবনীতা দাস। ছবি- ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
করোনা রেহাই দিচ্ছে না টেলিপাড়াকে। সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে একদম হালে নীল ভট্টাচার্য, সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছেই। জিতু এই জন্যই এখনই শুটিংয়ে বেরোতে বারণ করেছিলেন স্ত্রী নবনীতা দাসকে। যিনি দর্শকদের কাছে
‘তারা মা’ রূপে পরিচিত। ৩ অগস্ট তাঁর জন্মদিন গিয়েছে। কিন্তু নবনীতা নিজে কী ভাবছেন?
‘আনন্দবাজার ডিজিটালে’র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত নবনীতা, “ঠিক বলেছেন। আমিও ভয় পাচ্ছিলাম। শেষে সিরিয়ালের প্রযোজক যখন আশ্বাস দিলেন, সেট স্যানিটাইজড করা হবে, আমায় একা শট দিতে দেবেন তখন রাজি হয়েছি।”
তার পরেও তো ঠেকানো যাচ্ছে না। এর পর কী করবেন? এ বার অভিনেত্রীর পাল্টা সাফাই, এ ভাবে আর বাড়ি বসে থাকবেন না তিনি। “নিজেকেই সুরক্ষিত রাখতে হবে। নিজেরা সজাগ হলে কিন্তু সংক্রমণ ঠেকানো যায়”, সাফ জবাব তাঁর।
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ নবনীতা দাস। ছবি-ফেসবুকের সৌজন্যে।
লকডাউনে পুরোটাই বাড়িতে ছিলেন নবনীতা। কোয়ালিটি টাইম কাটালেন আপনি আর জিতু? “আমরা যখন ভীষণ ব্যস্ত তখনও দিনের শেষে বা শুরুতে একে অন্যের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি,” গলায় তৃপ্তি তাঁর। ফেসবুক লাইভে এসেছেন। মজার ভিডিয়ো বানিয়েছেন ‘ভুলভাল ক্লাব’ নাম দিয়ে। ‘পাগলা বাপন’, ‘এরম করোনা’ শর্ট ফিল্ম বানিয়েছেন দু’জনে।নেটাগরিকদের থেকে এ সবেও ভাল সাড়া পেয়েছেন জিতু-নবনীতা।
কিন্তু ওই স্বপ্নগুলো যে পূরণ হল না! নাচ, যোগার অ্যাকাডেমিক ক্লাস খোলার? একসঙ্গে খোলা মাঠে জগিং করতে যাওয়া?
জিতুর সঙ্গে নবনীতা। ছবি- ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
যেন বাচ্চাকে বোঝাতে বসলেন নবনীতা, “এ বছর কেউ বুঝতে পেরেছিল, এমন ভয়ঙ্কর দুর্দিন আসবে? আমরাও বুঝতে পারিনি। তাই স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এখন সেগুলো কোনও মতেই পূরণ করার অবস্থা নেই। স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। কে আসবে অ্যাকাডেমিতে? কিন্তু আগামী বছর হতেই পারে। আমরা সেই আশাতে। তাই এখন ঘরেই
আমরা একসঙ্গে জগিং, প্রাণায়াম, যোগা করি।”
বোঝা গেল, আশা, স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি জিতু-নবনীতা। তাঁর মতে, আগামী দিন যা আসছে তাতে শুধু অভিনয় করে দিন গুজরান হবে না। তখন ওই আইডিয়া কাজে লাগবে।
স্বামী ছোটর পাশাপাশি বড় পর্দাতেও চেনা মুখ। আপনি আসবেন না বড় পর্দায়? হাল্কা লজ্জা জড়ানো কণ্ঠে, “আমি ক্যামেরার পিছনে থাকতে ভালবাসি। সেটা পরিচালনা হতে পারে বা চিত্রনাট্য লেখা। সবাইকে ক্যামেরার সামনে থাকতেই
হবে তার কী মানে আছে!’’
৩ অগস্ট জন্মদিন গেল... কথা শেষের আগেই উত্তেজিত নবনীতা জানালেন, “আমাদের বাড়িতে জন্মদিনটাও প্রায় হাফ বিয়ে। সকালে গায়ে হলুদ মাখিয়ে স্নান। তার পর আশীর্বাদ হিসেবে পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, মাছ, মাংসের এলাহি পদ বাটি
বাটি করে থালার চারপাশে সাজিয়ে খেতে বসানো হয় আমাকে। গোল করে ঘিরে বসেন সমস্ত আত্মীয়, মা-বাবা, ঠামুন।” রাতের হুল্লোড় আবার অন্য রকম। কেক কাটা, বন্ধু, আত্মীয়দের সঙ্গে তুমুল হইচই করা।
জন্মদিনে জিতুর সঙ্গে নবনীতা। ছবি- সংগৃহীত।
ইনস্টায় যেমন পোস্ট করেছেন? ক্রিম কেকে জিতু কমলের হাতের ছোঁয়া, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বউ’। “ওটা তো এ বারের।লোকজন তো কেউই আসতে পারেননি করোনা আবহে। আগের দিন বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন সকালের নিয়ম মানা হয়েছিল। ওখানেও একটা বড় কেক কাটা হয়েছিল। তার পর কাল চলে আসি নিজেদের ফ্ল্যাটে। তখন জিতু আমার
জন্য এই কেক আনল। ক্রিম দিয়ে আমার দাড়ি-গোঁফ আঁকল। এ বছরটা এ রকমই একা একা, ফাঁকা ফাঁকা...’’, সংশোধন করে দিলেন নবনীতা।
কিন্তু তারাপীঠের ‘বড় মা’ হিসেবে কী বার্তা দিচ্ছেন ভক্তদের?
“অবস্থা যা দাঁড়াচ্ছে তাতে সতর্কতার কথা বলা হলেও কে, কতটা মানছেন সে সব দেখার কেউ নেই। তাই নিজেকেই নিজে সাবধানে রাখুন। নইলে আপনাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। তারা মা-ও না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy