বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনেতা সব্যসাচী।
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে সিদ্ধিলাভ করলেন বামাক্ষ্যাপা। আধ্যাত্মিক পথে প্রায় একক ও বিভোর তাঁর চলার পথ। পার্থিব বিষয়আশয়, সম্পর্ক আর বিচলিত করে না তাঁকে। কিন্তু বামাক্ষ্যাপা যে সিদ্ধিলাভ করেছেন তা প্রমাণ করতে হল?
বামাক্ষ্যাপার চরিত্রাভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী বললেন, “বাকি যে তান্ত্রিকরা রয়েছেন তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন যে বামা মিথ্যে কথা বলছে। তাঁদের কাছে প্রমাণ করতে হয় যে বামা সত্যিই সিদ্ধপুরুষ।”
সিদ্ধিলাভের প্রমাণ কী ভাবে দিতে হল? সব্যসাচীর কথায়: “পঞ্চমুণ্ডির আসনে সিদ্ধপুরুষ ছাড়া কেউ বসতে পারেন না। মানে এই আসনই ঠিক করে কে বসবে। তারাপীঠের পঞ্চমুণ্ডির আসন এখন বামার স্থান। এখানে বসেই বাকি তান্ত্রিকদের কাছে বামা সিদ্ধিলাভ করেছেন বলে প্রমাণ করেন। এ ছাড়া তাঁর বিষয়ে অলৌকিক লোককথাগুলোও এখন গল্পে চলছে। সেটাও প্রমাণ।”
আরও পড়ুন: ছেলের প্রথম জন্মদিন, ‘স্পেশাল প্ল্যানিং’ ফাঁস করলেন সুদীপা!
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে সব্যসাচী
সিদ্ধিলাভের পর বামার জীবনে কি কোনও বদল আসে? সব্যসাচী বললেন, “হ্যাঁ। সিদ্ধিলাভের পর নানান জায়গা থেকে বামার ডাক আসতে থাকে, নানান মানুষ ছুটে আসেন তাঁদের নিজস্ব সমস্যা নিয়ে। বামা সেগুলোর সমাধান করবার চেষ্টা করে।”
সব্যসাচীর সিদ্ধিলাভ হল? তিনি হাসলেন, “সত্যিকার সিদ্ধিলাভ বলতে... চরিত্রটি করতে করতে অনেক চেঞ্জ এসেছে।”
সেটা কেমন? তিনি অকপট: “আমি এমনিতেই একটু চুপচাপ, একটু ইন্ট্রোভার্ট। কিন্তু এই চরিত্রটা করতে করতে যেটা হয়েছে... ইউজুয়ালি এখন... হয়তো অনেক মানুষ রয়েছেন... তাঁদের মাঝখানে থেকেও সরে যেতে পারি। মানে ফিজিক্যালি আছি, কিন্তু মেন্ট্যালি হয়তো অন্য কোথাও... এ রকম একটা ব্যাপার।” সলজ্জ হাসলেন তিনি।
প্রেম প্রস্তাব পান? তিনি অবাক, “বামাক্ষ্যাপাকে প্রেম প্রস্তাব!”
আরও পড়ুন: জুতো পালিশ করা থেকে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ, সানির জার্নি যেন এক হার না মানা রূপকথা
না, সব্যসাচীকে। মৃদু হাসলেন তিনি, “কি হয়, বাবার থেকেও বেশি বয়সী মানুষেরা আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। আমার যে লুকটা অনস্ক্রিন দেখা যায় সেই লুকটাই কিন্তু অফস্ক্রিনেও থাকে। শুধু পোশাকটা পাল্টে যায়। যাঁরা সিরিয়ালটা দেখেন তাঁরা রেসপেক্ট দিয়েই কানেক্ট করেন। আমার মনে হয় না প্রেমবোধ আসে কারও।”
এটা সৌভাগ্যজনক না কি দুর্ভাগ্যজনক? সব্যসাচী: “এই চরিত্রটা যে পাওয়ার আমাকে দিয়েছে তার একটা বিশাল বড় দায়িত্ববোধ আছে। সেটা মেন্টেন করাটা হয়তো বেশ কঠিন। কিন্তু আমার সেটা ভাল লাগে। ক্যারেক্টারে থাকতেও সুবিধা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy