দিব্যজ্যোতি দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক যেন প্রেয়সী। কখনও গলায় জড়িয়ে নিয়েছেন। কখনও ফিসফিস করে কথা বলছেন তার সঙ্গে। নিজের শরীরে জড়িয়ে ভালবাসার উত্তাপে ভরিয়ে দিচ্ছেন। সাপের গালে চুমু খেয়ে আপাতত চর্চায় দিব্যজ্যোতি দত্ত! পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পথেই কি হাঁটছেন ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ‘সূর্য’? কোথায় গিয়ে সাপের সঙ্গে এত সখ্য তাঁর? ফোনে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই পাল্টা রসিকতা অভিনেতার। দিব্যজ্যোতির প্রশ্ন, “এ বার নির্ঘাত জানতে চাইবেন, ব্যাঙের গালে কখন চুমু খাব?”
তার পরেই আসল কথা জানিয়েছেন। টানা শুটিং করতে করতে একটু অবসর নিতে থাইল্যান্ড পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। মা-বাবা, বোন আসতে পারেননি। বদলে সঙ্গী দাদা আর মাস্টারমশাই। সেখানেই তিনি সাপের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তাঁর দাবি, “সৃজিতদার মতো কি না জানি না, ছোট থেকে আমার সাপ খুব পছন্দ। এক বার কিনব বলে এক বিশেষ প্রজাতির সাপ পছন্দও করে ফেলেছিলাম। মায়ের বকুনি খেয়ে শেষে আর ওই পথে হাঁটিনি।” থাইল্যান্ডে দিব্যজ্যোতির গলায় যে সাপটিকে দেখা যাচ্ছে সেটি জাতে কর্ন স্নেক। তিরিশ কেজি ওজন। দিব্যজ্যোতি বলেছেন, “কী শান্ত! খুবই ভাল। আদর করলে সাড়া দেয়। এমন প্রাণীকে কেন যে সবাই ভয় পায় কে জানে!”
পরে তার জন্য তিনি দায়ী করেছেন মানুষকেই। জানিয়েছেন, মানুষ মিথ্যে রটনা ছড়িয়ে সাপকে প্রাণঘাতী আখ্যা দিয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ সাপ বিষহীন। বিষধর সাপকেও উত্ত্যক্ত বা আঘাত না করলে তারা আক্রমণ করে না। সৃজিত যদি দিব্যজ্যোতিকে পছন্দের সাপ কিনে তাঁর বাড়িতে রাখার অনুমতি দেন? “প্রস্তাব লুফে নেব”, উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। জানিয়েছেন, তাঁর স্পাইডার বল পাইথন অথবা গ্রিন টি পাইথন পোষার শখ। এর কোনও একটি কিনে স্বচ্ছন্দে সৃজিতের বাড়িতে রেখে আসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy