নোবেলের কাণ্ড শুনে হতবাক তাঁর স্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ে না। শেষ কয়েক বছরে একাধিক বার বিভিন্ন সংবাদ শিরোনামে কারণে নাম উঠে এসেছে গায়ক মইনুর আহসান নোবেলের। ‘সারেগামাপা’ রিয়্যালিটি শো-তে প্রতিযোগী থাকাকালীনও তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল নানা অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতের একটি কাণ্ডের জেরে ফের দর্শকের রোষের মুখে গায়ক। তাঁর দিকে উড়ে এল জুতো, বোতল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মুখ খুলেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। এমন ঘটনায় তিনি হতবাক।
সালাবিল ভাবতেই পারছেন না এমনটা ঘটতে পারে। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “নোবেল আগে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকি, সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে ও। কী ভাবে এতটা বদলে গেল ও? ভাবতেই পারছি না।” তিনি আরও যোগ করেন, “ওর যদি কোনও শারীরিক সমস্যা হত, তা হলে আমি নিশ্চিত, মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করত। কিন্তু এই সমস্যাটা মানসিক, তা-ও আবার মদের কারণে। নোবেল প্রথম থেকে এমন ছিল না। আমি নিজেই চিনতে পারছি না এই নোবেলকে।”
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয় গায়ককে। সঙ্গীত পরিবেশন করার কথা ছিল তাঁর। সেখানেই তৈরি হয় এক অস্বস্তিকর পরিবেশের। মঞ্চে গান পরিবেশন করার সময়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে দেখা যায় তাঁকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর এমনটাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ৯টায় তাঁর স্টেজে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গান গাইতে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। অভিযোগ, মঞ্চে গান গাইতে গাইতে একটা সময় মত্তদের মতো আচরণ করা শুরু করেন। শেষে বসে পড়েন। গায়কের এই আচরণে ক্ষুব্ধ শ্রোতারা নোবেলকে লক্ষ্য করে বোতল ও জুতো ছুড়ে মারতে থাকেন। সেই ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। শেষে বিপদ বুঝে কলেজ কর্তৃপক্ষ গায়ককে মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy