ঋত্বিক এবং জ্যোতিকা।
‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’র অফারটা কীভাবে এল?
২০১৫-তে একটা শর্ট ফিল্মের শুটিংয়ে গিয়েছিলাম কলকাতা। পরিচালক বাংলাদেশি, গল্পেরপ্রেক্ষাপটও বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। ব্যস, ম্যাচ হয়ে গেল! প্রথমবার কলকাতা, সব কিছুতেই এক্সাইটমেন্ট।আমার পরিবার, আত্মীয়দের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর পরদেখা, প্রথম দেশের বাইরের প্রোডাকশন, নতুন কাজের স্বপ্ন... সব মিলিয়েদারুণ! শুটিংয়ের প্রথম দিন মামাবাড়ি থেকে এসআরএফটিআই-এর গেস্টহাউজে উঠলাম। ডিনারে খাবারের প্যাকেট এল যেটার কভারে লেখা ‘পুরনো ঢাকা’!চমকে উঠলাম! কলকাতায় ‘পুরনো ঢাকা’!
তারপর ?
পরদিন শুটিং শেষ করে আমরা কয়েকজন গেলাম ‘পুরনো ঢাকা’য়! বাংলাদেশি সিনেমার পোস্টারে ঢাকা দেওয়াল, বাংলা খাবারের রেস্তরাঁ। খুব ইন্টারেস্টিং, জানেন। ভাল লাগছিল। পরিচয় হল রেস্তরাঁর কর্ণধার সঞ্জয় নাগ(পরিচালক) ও তাঁর ভাই সুজয় নাগের সঙ্গে। ওঁদের কাছেই আমার বাংলাদেশি কাজের কিছু কপি দিয়ে এলাম। ভিসা থাকায় সে বছর আবার কলকাতা গেলাম ‘বাংলাদেশ ফিল্ম ফেস্টিভাল’-এ। আমার বাংলাদেশি সিনেমার প্রদর্শনও ছিল সেখান। অবশ্য আর একটা উদ্দেশ্যও ছিল।
কী সেটা?
আমার মাকে তার ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করানো। যাই হোক। সেবারই প্রথম দেখা হল পরিচালক প্রদীপ্তদার সঙ্গে। তিনি আমাকে গল্পটা বললেন। জিজ্ঞেস করলেন, কাজ করতে চাই কিনা। আমি সটান হ্যাঁ বলে দিলাম। তারপর তো...
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’বড় পর্দায় আরও একবার ফিরে আসছে। কী মনে হচ্ছে? দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন?
দর্শকতো শ্রীকান্ত উপন্যাস পড়ে একটা ইমেজ নিজেদের মধ্যে তৈরি করে রেখেছে। এবার তা ভাঙার পালা। এই বিশ্বায়নের যুগে সব কিছুই আপডেটেড হবে এটাই তো স্বাভাবিক।সিনেমা কেন নয়! এবারে প্রদীপ্ত এই সময়ের প্রেক্ষাপটে গল্প বদলে নিয়েছে। মানুষ নতুন ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-কে দেখবে। আমার মনে হয়তাতে দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে আবার তাদের ভেতর নতুন প্রত্যাশা তৈরি হবে এই ভেবে যে, গল্পকে কপি না করেও নতুনভাবে সিনেমায় উপস্থাপন করা যায়।
জ্যোতিকা জ্যোতি
বাংলাদেশ টু কলকাতা। জার্নিটা কেমন?
জার্নিটা ফ্লাইটে ছিল এক সন্ধ্যায় (হাসি )। আসলে জার্নিটা মাত্র শুরু হল তো, এন্ড করতে চাইছি না এখনই।
ঋত্বিক তো টলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। ওঁর সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন?
ভাল, ভাল এবং খুব ভাল। এত সাধারণভাবে থাকে যে অসাধারণত্ব টের পাওয়া যায়।এত বড় মাপের অভিনেতা হওয়ার পরেও খুব ভাল কো-আর্টিস্ট। মনেই হয়নি প্রথম কাজ করছি।
আরও পড়ুন- ভক্তদের জন্য ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে ধন্যবাদ জানালেন ‘ভাইজান’
ঢালিউড এবং টলিউডের মধ্যে ম়ূল পার্থক্য কী?
প্রফেশনালিজম। টলিউড প্রফেশনাল, ঢালিউড ইমোশনাল।
আপনি তো অন্যতম প্রধান চরিত্র। তা সত্ত্বেও পোস্টারে আপনার মুখ তো খুব একটা দেখা যাচ্ছে না?
আমার এমনটা মনে হয়না।সবেতো একটা পোস্টার এল, আরও বাকি আছে। এ ছবিতে প্রধান দুটো চরিত্র রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত, দু’জন সমানভাবেই পোস্টারে রয়েছে। আমার পরিচালকপ্রথম পোস্টারেআর্টিস্টের থেকে গল্পের থিমকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। পরিচালকের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে।
ট্রেলার দেখে দর্শকের বেশ ভালই লেগেছে রাজলক্ষ্মী তথা জ্যোতিকাকে। নেক্সট প্ল্যান কী? টলিউডে পাকাপাকি? নাকি ব্যাক টু ঢাকা?
হুমম। ট্রেলারে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। আর সত্যি বলতে কি, ছবিটা ট্রেলারেরথেকে অনেক বেশি ভাল। মনে হয়না ব্যাক করতে হবে। তবে পুরুলিয়া থেকে শুটিং শেষে ফেরার সময় আমার ডিরেক্টর বলেছিলেন,‘জ্যোতি, আপনি যা অভিনয় করেছেন মনে হয়না আপনাকে ডিপ্রেসড হয়ে ঢাকা ফিরতে হবে।’ অবশ্য পৃথিবীর কোনও জায়গাকে আমি পাকাপাকি মনে করতে পারিনা। কখন কার কী হয় কে বলতে পারে!
অন্য রূপে জ্যোতিকা
কলকাতার নামজাদা অভিনেতাদের ভিড় ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-তে। শোনা যাচ্ছে আপনার উপর প্রচারের আলো সে ভাবে পড়ছে না?
(হাসি) আনন্দবাজারের মতো ব্র্যান্ড যেখানে আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছে সেখানে লাইমলাইট ফিকে কী করে বলি! এখনও পর্যন্ত প্রশংসাই পাচ্ছি। কিন্তু সিনেমায় রাজলক্ষ্মী জ্বলজ্বলে।বাদবাকিটা পর্দা বলবে।
আরও পড়ুন- আদালত ডেকে পাঠাল অক্ষয় খন্নাকে, প্রশ্নের মুখে ‘সেকশন ৩৭৫’
নতুন জায়গায় বন্ধু হল?
আমার টিমের সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু।যাঁদের সঙ্গেই পরিচয় হচ্ছে তাঁরা আমাকে খুব আপন করে নিচ্ছে।আর কি বলুন তো, এই যে কলকাতায় সবাই‘তুমি’‘তুমি’করে কথা বলে, সেটাই দ্রুত বন্ধুত্ব তৈরি করে।
শেষ প্রশ্ন। জ্যোতিকা কি সিঙ্গল না কমিটেড ?
(হাসি) সিঙ্গল, কমিটমেন্টে ভয় আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy