সোনালের দাবি, প্রগতিবাদী বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা নির্মাতাদের নীতি নয়। বাজার বুঝেই সব কিছু হয়। তারা শুধু লাভ বোঝে। ছবি: সংগৃহীত।
সোনাল ঝা পরিচিত মুখ। হিন্দি ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়েছিল। এখন তিনি ধারাবাহিকে আর অভিনয় করেন না। সচেতন ভাবেই দূরত্ব বজায় রেখেছেন। যখন তিনি ‘বালিকা বধূ’ করতেন, সেই সময়ের চেয়ে কতটা বদলে গিয়েছে আজকের সময়? অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তুর উপরেও ইতিবাচক কি প্রভাব ফেলেছে সময়? জিজ্ঞাসা করা হলে সোনাল জানান, ২০১৬ সালের পর থেকে টেলিভিশন দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই এ নিয়ে বিশদ বলতে পারবেন না।
সোনালের কথায়, “টিভি একটি বড়, প্রশস্ত মাধ্যম। নানা ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে সমান্তরাল ভাবে কাজ হয় এখানে। যখন ‘বালিকা বধূ’র মতো ধারাবাহিক তৈরি হচ্ছিল, সেই সময়ই একতা কপূর ধারাবাহিক বানাচ্ছিলেন পারিবারিক কূটকচালের মতো বস্তাপচা বিষয় নিয়ে। আমি মনে করি, ভাল গল্প এখনও আছে, কিন্তু অধিকাংশই দৌড়চ্ছেন চলতি হাওয়ার সঙ্গে। পরিবর্তন যা হয়েছে, সব ফালতু।”
সোনালের দাবি, প্রগতিবাদী বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা নির্মাতাদের নীতি নয়। বাজার বুঝেই সব কিছু হয়। তারা শুধু লাভ বোঝে। অভিনেত্রীর মতে, “আমায় বলা হল, খুবই শক্তিশালী চরিত্রে আপনাকে ভাবা হয়েছে। কিন্তু অভিনয় করতে গিয়ে দেখলাম বিষয়বস্তুতে কোনও প্রগতির ছাপ নেই।”
চ্যানেলের খামখেয়ালিপনার কাছে অসহায় লাগত সোনালের। নিজেকে হাতের পুতুল মনে হত। জানালেন, প্রায়ই নির্মাতা এবং সৃজনশীল সদস্যদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত হত। কারণ, যে চরিত্র দুই পর্ব আগে এক কথা বলেছে, পরে অন্য কথা বসানো হচ্ছে তাঁর মুখে, এমনই অভিযোগ সোনালের। এতেই টেলিভিশনের প্রতি তিতিবিরক্ত তিনি। একটা নির্দিষ্ট আদর্শ অবলম্বন করে কাজ করার পক্ষে টেলিভিশন কঠিন মাধ্যম বলেই মত অভিনেত্রীর।
২০০৮ থেকে ২০১৬ অবধি সম্প্রচারিত হয়েছিল ‘বালিকা বধূ’। বাল্যবিবাহের ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সেই ধারাবাহিক ঘরে ঘরে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy