আয়েশা-দিব্যার একান্ত গল্প
আয়েশা ঝুলকার মনে পড়ে যায় সহকর্মী দিব্যা ভারতীকে। ১৯৯৩ সাল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। তখনও একসঙ্গে কাজ করছিলেন দু’জনে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার ‘ওয়ক্ত হমারা হ্যায়’ (১৯৯৩) ছবিতে আয়েশাকে অভিনয়ের জন্য রাজি করিয়েছিলেন দিব্যাই।
সেই সব দিন মনে পড়ে যায় আয়েশার। এত হাসি-ঝগড়া- খুনসুটির মায়া কাটিয়ে কী ভাবে যে চলে যেতে পারলেন দিব্যা, ভেবেই পান না তাঁর দোসর। এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা জানালেন, দিব্যার মৃত্যুর খবর তাঁকে 'অসাড়' করে দিয়েছিল। ‘রং’(১৯৯৩) ছবির ডাবিংয়ের কাজ চলছিল তখন। কিন্তু কিছুতেই মন দিতে পারছিলেন না আয়েশা। একাধিক বার টেক বাতিল করা হয়েছিল।
তালাত জনি দ্বারা পরিচালিত ‘রং’-এ দিব্যা, আয়েশা, কমল সাদানা, জিতেন্দ্র, অমৃতা সিংহ, কাদের খান প্রমুখ তারকার উপস্থিতি রয়েছে। সে বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘ওয়ক্ত হমারা হ্যায়’, যে রোম্যান্টিক অ্যাকশন কমেডি ছবিতেও একসঙ্গে ছিলেন দিব্যা আর আয়েশা।
আয়েশা বলেন, “আমরা শিশুসুলভ ছিলাম। ছোটখাটো সমস্যা লেগেই থাকত আমাদের মধ্যে। বিড়াল-কুকুরের মতো ঝামেলা করতাম। কাজও করতাম চুটিয়ে। আমাদের রসায়ন ছিল অন্য মাত্রার। আমি দিব্যাকে খুব পছন্দ করতাম। আর দিব্যা বলত, ‘আমি তোমার প্রেমে পড়েছি।’ আমরা প্রতিবেশীও ছিলাম। যোগাযোগ ছিল নিজেদের মধ্যে। ‘রং’ ছবিতে আমরা দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছি।”
শুধু তা-ই নয়, আয়েশা জানান, মহাবালেশ্বরে তাঁর ছবির সেটে চলে আসতেন দিব্যা। এসে তাঁকে টিপ পরাতেন ভালবেসে। জুতো-জামা উপহার দিতেন। এখনও যখন পর্দায় নিজেদের পুরনো দিনের ছবি দেখেন, সব স্মৃতি আগল ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু কান্নাগুলো যেন জমে শক্ত হয়ে গিয়েছে এত বছরে।
১৯৯০ সালে ‘কুরবান’ ছবিটি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন আয়েশা। এর পর ‘খিলাড়ি’ এবং ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ (১৯৯২), ‘চাচি ৪২০’ (১৯৯৭), ‘হিম্মতওয়ালা’ (১৯৯৮), ‘রান’ (২০০৪), ‘সোচা না থা’ (২০০৫)-র মতো অনেক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলা ‘হুশ হুশ’ ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে বছর পঞ্চাশের অভিনেত্রীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy