চিকিৎসকদের যন্ত্রণা কোনও দিন অনুভব করেছেন? কোনও দিন ভেবে দেখেছেন, পরিষেবা দেওয়ার পরেও কেন তাঁরা মার খান? সমাজই বা কারণে-অকারণে কেন হেনস্থা করে তাঁদের? ওঁদের পরিবারের মানসিক অবস্থাই বা তখন কেমন হয়? ৪৫ বছর পরে এমনই জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে ফিরছে অরোরা ফিল্মস কর্পোরেশন। এক সময় যাঁরা সত্যজিৎ রায়ের ছবির একচেটিয়া প্রযোজক ছিলেন। তাঁদের আগামী ছবি ‘কালকক্ষ’ মুক্তি পাচ্ছে অগস্টে। সেখানেই একঝাঁক মঞ্চ এবং পর্দার অভিনেতা উত্তর খুঁজেছেন সব প্রশ্নের।
নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘অলীক সুখ’ প্রথম এবং সম্ভবত শেষ বারের মতো চিকিৎসকের ব্যক্তিজীবন বড়পর্দায় তুলে ধরেছিল। তার পর অরোরা ফিল্মস। যে ছবি দেখাবে কোভিডে বিধ্বস্ত শহর কলকাতা ফের স্বাভাবিক হয়েছে চিকিৎসকদের প্রতি দিনের লড়াইয়ে। ছোঁয়াচে রোগীর সেবা করে তাঁরাই বহু জায়গায় আশ্রয়হীন! ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র এক চিকিৎসক। অতিমারি বিধ্বস্ত এক পৃথিবীতেই তার বাস। নিজেও আতঙ্কিত হওয়ায় তিন জন রোগীর চিকিৎসায় ‘না’ বলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাশুল গুনতে হয় তাঁকে। এমনকি অপহৃতও হন! তার পর? তার পরের গল্প এগিয়ে গিয়েছে পরিচালক রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতির হাত ধরে।
ছবিতে চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মঞ্চ-খ্যাত জনার্দন ঘোষ। অন্যান্য ভূমিকায় তন্বিষ্ঠা বিশ্বাস, শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায় এবং অহনা কর্মকার। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে দেখা যাবে অমিত সাহাকেও।