অর্জুন রামপাল
মাদক মামলায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র (এনসিবি) কাছে অভিনেতা অর্জুন রামপাল যে প্রেসক্রিপশন জমা দিয়েছিলেন সেটি ‘ভুয়ো’ বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থাটির। এনসিবি সূত্রে খবর, এক আত্মীয়ের সূত্রে তিনি দিল্লির এক চিকিৎসকের কাছ থেকে এই ব্যাকডেটেড প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা করেছেন।
সোমবার ঘণ্টা ছ’য়েক জেরা চলাকালীন এনসিবি সূত্রে জানানো হয়েছিল, ভুয়ো প্রমাণিত হলে তাঁকে এনসিবি হেফাজতে যেতে হবে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, অর্জুনকে গ্রেফতার করা হবে কি না এই নিয়ে মুখ খোলেননি এনসিবি আধিকারিকেরা।
গত মাসে অভিনেতা অর্জুন রামপালের বাড়ি তল্লাশির সময়ে কিছু ওষুধ ও বৈদ্যুতিন যন্ত্র উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। এনডিপিএস (দ্য নার্কোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যানসেস অ্যাক্ট, ১৯৮৫) আইনে সেই ওষুধগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ। গত ১৩ নভেম্বর সেই ওষুধগুলির একটি প্রেসক্রিপশন এনসিবি-র হাতে তুলে দিয়েছিলেন অর্জুন রামপাল। তাঁর দাবি, তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন বলে চিকিৎসক তাঁকে এই ওষুধগুলি খেতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: আইবুড়ো ভাত খাওয়ার পর্ব শুরু, ভালবেসে নিজেদের কী নাম রাখলেন ইমন?
এনসিবি সূত্রে দাবি, সেই প্রেসক্রিপশনটির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রেসক্রিপশনটি ভুয়ো। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে দিল্লিবাসী মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রোহিত গর্গের কাছ থেকে তিনি এই ব্যাকডেটেড প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা করেছেন। রোহিত গর্গ এনসিবি-কে জানিয়েছেন, তিনি এই তদন্তের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। অর্জুন রামপালের এক আত্মীয় রোহিতেরই এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁকে বলেছিলেন যে রোগী নানা দুর্ভাবনায় ভুগছেন, তাঁকে ব্যাকডেটে একটি প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দিতে হবে। সাংবাদিকদের সামনে রোহিত বলেন, ‘‘এটি বিচারাধীন বিষয়। এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। আমার কাছে যা যা তথ্য ছিল আমি এনসিবি-কে দিয়ে দিয়েছি। বয়ান রেকর্ডও হয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘পুরনো দিনের নায়িকা হলেই ভাল হত’, হঠাৎ আফসোস কেন দেবলীনার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy