অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়।
আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে শিরদাঁড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় অতি সম্প্রতি অপারেশন হয়। এর পরেই চিকিৎসক তাঁকে সমস্ত শারীরিক এবং মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিলে ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফোরামের আগামী নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অরিন্দমের কাজ, দায়িত্ব সামলাবেন যুগ্ম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়।এমনটাই নির্দেশ সভাপতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।
যাঁকে ঘিরে এত বড় বদল সেই অরিন্দমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি এই বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি।
যুগ্ম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, “প্রথমে সৌমিত্র জ্যেঠু অরিন্দমদাকে বলেছিলেন, আপাতত ৩-৪ মাস বিশ্রাম নে। প্রয়োজনে সেটা ৬ মাস হলেও চালিয়ে নেওয়া যাবে। তারপর না হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আবার কাজে যোগ দিবি। কিন্তু সেটা বোধহয় সম্ভব হচ্ছে না। তাই অরিন্দমদা ইস্তফা দিলেন।”
আরও পড়ুন- কাজ শুরু সিবিআইয়ের, সুশান্তের কল রেকর্ডে উঠে এল নয়া তথ্য
কতদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অরিন্দম? শান্তিলালের বক্তব্য, এসওপি স্বাক্ষরের সময় খুবই অসুস্থ ছিলেন অরিন্দম। ভাল করে বসতে, দাঁড়াতে পারছিলেন না। এর পরেই জুনে অপারেশন। এবং অরিন্দমের কাজ সামলানোর ডাক পান শান্তিলাল।
আচমকাই অনেকখানি দায়ভার শান্তিলালের কাঁধে। প্রস্তুতির সময় পেয়েছেন? “না, একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না”, স্বীকারোক্তি অভিনেতার। পাশাপাশিতিনি আশ্বস্ত এই ভেবে, “ফোরামের সমস্ত কাজ, সিদ্ধান্ত এগজিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হয়। সেখানে সৌমিত্র জ্যেঠু সবার ওপরে। তার পরেই বুম্বাদা। এছাড়া, তাপস চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, কুশল চক্রবর্তী, সোনালি চক্রবর্তী, জিৎ, সোহম, দিগন্ত, জুন মাল্য, প্রত্যেকেই আছেন। শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বুদ্ধি-পরামর্শ দিতে অবশ্যই আছেন, থাকবেন অরিন্দমদা। কমিটিতে তো কোনও বদল আসেনি। তাই অরিন্দমদা থাকতেও যেমন সবার মত নিয়ে চলা হত, এখনও তাই হবে। এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে সব দায় আমার একার ঘাড়ে এসে পড়ল।”
ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে টেলিপাড়ায়। কী ভূমিকা নেবে বা নিতে চলেছে ফোরাম? শান্তিলালের মতে, “আমরা ইতিমধ্যেই চ্যানেল এবং প্রযোজকদের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছি। এমনিতেই সরকারি নির্দেশ মেনে পাঁচদিন কাজ হচ্ছে। সপ্তাহে দু’দিন লকডাউন। চাপ তাতে আরও বেড়েছে। কিন্তু এটা মানতে বাধ্য সবাই। আমরা তো স্বাস্থ্য দফতর আর ডাক্তারবাবুরা যা নির্দেশ দিচ্ছেন তার বাইরে চলতে পারি না। বরং আমাদের তরফ থেকে আর কী করা যেতে পারে সেটুকুই আমরা দেখতে পারি।”
আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হবে, আদালতে জানাল কেন্দ্র
সহ-সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী জানালেন, সাধারণ সম্পাদক কোনও কারণে কাজ করতে না পারলে সেই দায়িত্ব নিতে হয় সহ-সম্পাদককে। শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের নাম সাজেস্ট করেন সভাপতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সর্বসম্মতিতে সেটা মেনে নেওয়ায় আগামী ২ বছর সব দায়িত্ব শান্তিলালের।”শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে স্বাগত জানিয়েছেন জুন মাল্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy