কখনও কখনও অন্য জুতোতেও পা গলাতে হয় বইকি! মনে করছেন রহমান। —ফাইল চিত্র
‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’ অস্কার পেলে দেশের ভাল, এ কথা আগেই বলেছিলেন এ আর রহমান। তাঁর কথা সত্যি হয়েছে। অ্যাকাডেমি পুরস্কার এসেছে ভারতের সংগ্রহে। ভীষণ খুশি জনপ্রিয় সঙ্গীতস্রষ্টা। এই প্রথম সম্পূর্ণ ভারতীয় সিনেমায় অস্কার এল। তবে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের এই গৌরব ধরে রাখার ক্ষেত্রে কি ঠিক পথে এগোনো হচ্ছে? মনে করছেন না ১৩ বছর আগে অস্কারজয়ী রহমান।
সম্প্রতি তাঁর এক সাক্ষাৎকার সমাজমাধ্যমে ঘুরছে, যেখানে রহমানকে বলতে শোনা যায়, “যে ধরনের ভারতীয় ছবি অস্কারে পাঠানো উচিত তেমন ছবি পাঠানো হচ্ছে না। আমরা ভুল করছি। পশ্চিমের মানুষ তো সেই সব ছবিগুলির রস বুঝতে পারছেন না। ওঁদের দিক থেকেও তো ব্যাপারটা ভাবতে হবে! আমরা খালি নিজেদের মতো করে ভাবছি। কখনও কখনও অন্য জুতোতেও পা গলাতে হয় বইকি!”
আগে প্রযুক্তি আলাদা ছিল। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার সময় অর্কেস্ট্রার বড় দল নিয়ে অনেক গানের ট্র্যাক বানাতে হত রহমানকে। পরে প্রযুক্তি আধুনিক হওয়ার পর অনেক সুবিধা হয়েছে। যদিও শুরুতে সড়গড় হতে সময় নিয়েছেন শিল্পী। রহমান বলেন, “সিনেমার গান নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার অবকাশ রয়েছে এখন। তবে আমি যে কত বার ব্যর্থ হয়েছি নতুন প্রযুক্তি বুঝতে! কেউ জানেন না সে সব কথা।” রহমান আরও জানান, নিরীক্ষা করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন, কিন্তু তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন প্যাশন ধরে রাখা। যদি পশ্চিমের দেশগুলিতে ভাল গান, ভাল ছবি হতে পারে, ভারতে হবে না কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর পরই রহমান বলেন, “আমরা যদি ওঁদের সঙ্গীত শুনি, ওঁদের সিনেমা দেখি, ওঁরা আমাদেরগুলো দেখবেন না কেন?” তাই ভাল মানের শিল্প সৃষ্টির দিকে জোর দিয়েছিলেন রহমান। সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন চলতি বছর ৬ জানুয়ারি। রহমানের জন্মদিন ছিল সে দিনই। ১২ মার্চের অস্কার তখনও অনেক দূরে। দেশের সঙ্গীত পরিচালকের দূরদর্শিতা প্রমাণ করে এ বছর দু’টি অস্কার নিয়ে এসেছে দেশের মটিতে তৈরি সিনেমা এবং তথ্যচিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy