Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Aparajita Adhya

‘দশমীর মধ্যে ন্যায়বিচার না হলে দুর্গাবরণ করতেই যাব না’, ‘উৎসব’ প্রসঙ্গে বললেন অপরাজিতা

নিহত চিকিৎসক সুবিচার পাবেন, এই আশায় ছিলেন অভিনেত্রী। বিচারের দাবিতে তিনি একাধিক মিছিলেও হেঁটেছেন।

Aparajita Adhya said that she is not buying anything for this Durga Puja until justice is served

অপরাজিতা আঢ্য। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৩
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডের পর পেরিয়েছে এক মাস। পুজো আসতেও বাকি আর এক মাস। মাঝখানে চলছে আন্দোলন, বিচারের দাবিতে আন্দোলন। সোমবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এক মাস হল, পুজোতে ফিরুন, উৎসবে ফিরুন’। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, তিনি এ বছর উৎসবে ফেরার কথা ভাবতেই পারছেন না।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও অপরাজিতার দাবি, এ দিনের শুনানির দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। প্রতি তাঁর কিছু প্রত্যাশা ছিল। নিহত চিকিৎসক সুবিচার পাবেন, আশায় ছিলেন অভিনেত্রী। বিচারের দাবিতে তিনি একাধিক মিছিলে হেঁটেছেন। কিন্তু সোমবার দুপুরের পরে তিনি আশাহত বলে জানান অপরাজিতা। সব দেখে শুনে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

অপরাজিতা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আজ খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভেবেছিলাম আজ ইতিবাচক কিছু দেখতে পাব। আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কেমন লাগছে, তা আমি ভাল ভাবেই বুঝতে পারছি। মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি পুজো, উৎসব, আনন্দ এগুলি কিছুই ভাবতে পারছি না।”

অভিনেত্রী জানান, প্রতি বছরই নবমী পর্যন্ত তিনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাঁর পুজোর আনন্দ সবটাই বিজয়া দশমীর দিনে। ওই দিন পরিবার ও পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে দু্র্গা প্রতিমা বরণ করেন। অভিনেত্রীর কথায়, “পুজো, উৎসব এ বার ভাবতে পারছি না। তবে কাজ করব। কাজ না করলে তো আমার সংসার চলবে না! তৃতীয়া থেকে নবমী পর্যন্ত আমি কাজই করি। দশমীর দিনটা বরণ করি, নাচতে নাচতে বিসর্জনে যাই। তবে, এ বছর যদি দশমীর আগে সুবিচার না পাওয়া যায়, তা হলে আমি আর মা-কে বরণ করব না। এ বার আমি কারও জন্য কোনও কেনাকাটা করব না। এমনকি, ছোটদের জন্যও কেনাকাটা করব না। বাচ্চাদেরও বোঝা উচিত উৎসব না হওয়ার অর্থটা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE