অনুপ সেনগুপ্ত-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তাঁর তিনটি ছবির অভিনেত্রী। তিনিই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে রাতারাতি চর্চায়! জানার পরেই বিস্মিত পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত। আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, ‘‘আমার ‘মামা-ভাগ্নে’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘বাংলা বাঁচাও’ ছবিতে পরপর কাজ করেছিলেন অর্পিতা। তার পরে আর যোগাযোগ রাখেননি। ১২ বছর পরে খবরের শিরোনামে তিনিই! জেনে অবাক লাগছে।’’ তার পরেই দাবি, লোভ মানুষকে কোথায় নামিয়ে আনে।
পরিচালকের যুক্তি, আগেও অভিনেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের ওঠাবসা ছিল। উত্তমকুমারও বহু রাজনৈতিক আমন্ত্রণ পেতেন। কিছু আমন্ত্রণ তাঁকেও রাখতে হত। কিন্তু সবেতেই তিনি সাড়া দিতেন না।
কথা প্রসঙ্গে অনুপ জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে ‘মামা ভাগ্নে’ ছবির জন্য নায়ক-নায়িকা বেছেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে। নায়িকার বন্ধুর চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তখনই খোঁজ পান বেলঘরিয়া-রথতলা এই মেয়েটির। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে আসত। কাজ শেষ করে চলে যেত। কখনও অন্যথা দেখিনি। খুব যে ভাল অভিনয় করত, তা নয়। আবার একেবারে পারত না, তা-ও নয়। তবে ঝকঝকে, আধুনিক বরাবরই।’’
প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে অর্পিতা একাধিক বার কাজ চেয়ে ফোন করেছেন পরিচালককে। অনুপও তাঁর পরের দু’টি ছবিতে দু’টি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’তে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা নায়িকা। সিনেমার ভিতর সিনেমায় অর্পিতা রাহুলের নায়িকা! একটি আইটেম গানে অংশ নিয়েছিলেন। তৃতীয় ছবিতে প্রসেনজিৎ-পাওলি জুটির সমান্তরাল নায়ক-নায়িকা সাহেব ভট্টাচার্য-অর্পিতা। পরিচালকের আফসোস, এখন উপার্জনের এত দিক খুলে গিয়েছে যে, কেউ আর পরিশ্রম করতেই চান না। কিন্তু ফলাফল যে ভাল হয় না, তারই উদাহরণ অর্পিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy