দু’টি বেনামী চিঠিতে ফের তদন্ত ঘুরল
একটি চিঠিতে লেখা, সোনালি ফোগতের খুনের পিছনে ১০ কোটি টাকার কারবার রয়েছে। অন্য চিঠির বয়ানে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের নাম, যাঁরা নাকি যুক্ত ছিলেন সোনালি-খুনে। এমন দু’টি চিঠি হাতে পেয়েছেন প্রয়াত অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী সোনালির পরিবারের সদস্যরা। কারা পাঠিয়েছেন, কেন পাঠিয়েছেন— কিছুই বুঝতে পারছেন না সোনালির দেওর আমন পুনিয়া।
চিঠি নিয়ে আমন পুলিশের কাছে যান। সোনালি-মৃত্যুরহস্যের কিনারায় চিঠি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ভেবে বিশদে তদন্তের দাবি জানান। যদিও চিঠিগুলি এসেছে আগেই। প্রথম চিঠিটি প্রায় এক মাস আগে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আমন। আর দ্বিতীয় চিঠিটি এসেছে তার কিছু দিন পরে। এর আগে হিসারে অনুষ্ঠিত সর্ব খাপ মহাপঞ্চায়েতে সোনালির ভাই রিঙ্কু অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই তাঁর দিদির মৃত্যুর জন্য দায়ী।
খাপের মুখপাত্র সন্দীপ ভারতী জানান, সোনালির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে কুলদীপ বিষ্ণোইকে সবার সামনে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। এ দিকে সোনালির বোন রুকেশ আদমপুর থেকে নির্বাচনে লড়বেন বলেও জানিয়েছেন আমন। তাঁর কথায়, “সোনালির বোন রুকেশ আদমপুর থেকে নির্বাচনে লড়বেন। আম আদমি পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে আছি। জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেব।”
গত ২৩ সেপ্টেম্বর, গোয়া সফরে গিয়ে আচমকা মৃত্যু হয়েছিল সোনালির। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির বিচার বিভাগীয় হেফাজত বাড়ানো হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সুধীর সাগওয়ান এবং সুখবিন্দর সিংহের হেফাজত ১৪ দিন বাড়িয়েছেন মাপুসার ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
৪৩ বছরের অভিনেত্রীকে মৃত অবস্থায় অঞ্জুনার এক বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশের তদন্তে উঠে আসা সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে সোনালিকে পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত দু’জনই কোলভালে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy