‘ম্যাজিক’-এর সাফল্যে আপ্লুত অঙ্কুশ।
বেশ কিছু বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েও ‘অভিনয় পারে না’র তকমা গা থেকে সরাতে খানিক বেগ পেতে হয়েছে অঙ্কুশ হাজরাকে। তবে রাজা চন্দের পরিচালনায় ‘ম্যাজিক’ নাকি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে তাঁকে। অভিনেতা বলেন, “ম্যাজিকের হাত ধরে প্রমাণ করা গেল, হার্ডকোর কমার্শিয়াল অভিনেতারাও অন্য ধরনের অভিনয় করতে পারে। শুধু নাচ গান অ্যাকশন নয়, অভিনয়েও তারা একই ভাবে সাবলীল।”
শুধু নিজের জন্য নয়, অঙ্কুশ খুশি করোনা পরবর্তীকালে ছবির বাণিজ্যে হাল ফেরায়। বক্স অফিসে ম্যাজিকের ভাঁড়ার পূর্ণ। অভিনেতা নিজেই জানালেন সে কথা, “কিছু সিঙ্গলপ্লেক্স বিগত ৭ বছরে যা কালেকশন দেখেনি, 'ম্যাজিক' সেই পরিমাণ টাকা এনে দিয়েছে। অনেক এগজিবিটরও আমাকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অনেক বছর পর নাকি সিঙ্গলপ্লেক্স -এ হাউসফুল বোর্ড লাগল।”
অঙ্কুশ জানালেন, সিঙ্গলপ্লেক্সের সঙ্গেই মাল্টিপ্লেক্সেও ভাল সারা পাচ্ছে ম্যাজিক। সচরাচর ‘কমার্শিয়াল’ ছবিকে এড়িয়ে যাওয়া দর্শকও যে এই ছবি দেখছেন, তা জানতে পেরে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। উত্তেজনা অঙ্কুশের গলায়, “কোভিডের আগে হলে হয়তো ম্যাজিক আরও ব্যবসা করত। কিন্তু এই কঠিন সময় পেরিয়েও প্রথম ২ দিনে যা ব্যবসা করেছে, সেটা নেহাত কম নয়।” ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কি করে তোকে বলবো’ শুধুমাত্র সরস্বতী পুজোয় ৪৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছিল। কোভিড পরবর্তী কালে ‘ম্যাজিক’ করেছে তার অর্ধেক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সিনেমার হাল ফিরবে বলে মনে করছেন অভিনেতা। এই ছবির বাজেট মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। স্যাটেলাইট রাইট এবং বক্স অফিস মিলিয়ে আর ২ সপ্তাহের মধ্যেই প্রযোজকের ঘরে পুরো খরচ উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লকডাউনের পর প্রথম ছবি। বক্স অফিসের নিরিখে ‘হিট’ তকমা। তার উপর আবার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে প্রথম বার বড় পর্দায়। ‘ম্যাজিক’ কি সেই কারণেও আরেকটু বিশেষ হয়ে থাকবে? প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই অঙ্কুশের উত্তর, “আমার আর ঐন্দ্রিলার জুটি ভাঙিয়ে তো 'ম্যাজিক' হিট করেনি। ভাল গল্প, ভাল পরিচালনা আর অভিনয়ের জন্য করেছে। এই ছবিতে একটা রিয়্যাল লাইফ জুটি আছে বলেই, জোর করে নাচ গান ঢুকিয়ে দেওয়া হয়নি।”
বাংলা ছবির রূপ বদলাচ্ছে। রিমেকের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের ছবি। এমনটাই মনে করছেন অঙ্কুশ। তাঁর কথায়, “ভাল ছবি, ভাল বিষয়বস্তুকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিকে সম্মান করতে হবে। অকারণে সব কাজে খুঁত বার করলে সেটা সম্ভব নয়।” এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ভারতীয় দর্শকদের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন অভিনেতা। “দক্ষীণ ভারতের মানুষরা যেমন তাঁদের ইন্ডাস্ট্রির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ঠিক একই ভাবে এখানকার দর্শককেও বাংলা ছবি ভালবাসতে হবে”, বক্তব্য অঙ্কুশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy