অঙ্কুশ ইনস্টাগ্রামে তাঁর প্রথম ছবি ‘কেল্লাফতে’-এর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের জলে নাচছেন অঙ্কুশ-রূপা। অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘মনে পড়ে প্রথম ছবির কথা। তখন আমার টাকাও ছিল না, তাই মানিব্যাগও ছিল না।’ পাশে হ্যাশট্যাগে ‘থ্যাঙ্ক গড’ (ভাগ্যিস) লেখা।
রূপা দত্ত-অঙ্কুশ হাজরা
২০০৯ সাল। ‘কেল্লাফতে’ ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল। টানা এক বছর ধরে সেই ছবির কাজ চলে। ২০১০ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এক ‘হিরো’ পায়, অঙ্কুশ হাজরা। আর ‘হিরোয়িন’? রূপা দত্ত। সেই রূপা দত্ত, সম্প্রতি যিনি কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার হন কেপমারির অভিযোগে। আদালতে তোলা হয় তাঁকে। এক দিনের জেল হেফাজতও হয়। দর্শকেরা হয়তো ভুলে গিয়েছেন রূপাকে। কিন্তু অঙ্কুশ তাঁর প্রথম ছবির নায়িকাকে কী ভাবে ভুলতে পারেন? কিন্তু তখনকার রূপার সঙ্গে এই ধৃত অভিনেত্রীকে মেলাতে পারছেন না তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল টলিউডের প্রথম সারির নায়ক-অভিনেতা অঙ্কুশকে। তাঁর মনে পড়ে, খুব বেশি বন্ধুত্ব না হলেও কথাবার্তা তো হতই। কথা বলা, হাঁটাচলায় বেশ আভিজাত্য ছিল রূপার। অঙ্কুশ বললেন, ‘‘সম্ভবত তিনি ‘কেল্লাফতে’ ছবির এক জন প্রযোজকও ছিলেন। টাকা ঢেলেছিলেন ছবিতে। যা জানতাম, স্বচ্ছল পরিবার থেকে এসেছিলেন তিনি। তার পরে বইমেলায় পকেটমারির ঘটনা শুনে চমকে উঠেছি আমি।’’
অঙ্কুশের মতে, কেউ অভাবে চুরি করেন, কেউ আবার স্বভাবে। তাঁর কথায়, ‘‘রূপার ক্ষেত্রে কোনটা, তা জানি না। এতগুলি বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ২০১০ সালের পর কোনও যোগাযোগও ছিল না। এমনকি তিনি যে অনুরাগ কশ্যপের নামে ‘অশ্লীলতা’-র অভিযোগ তুলেছিলেন, সে তথ্যও ছিল না আমার কাছে। আকাশ থেকে পড়েছি আমি।’’
সোমবার দুপুরে অঙ্কুশ একটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে ‘কেল্লাফতে’ ছবির একটি গানের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সমুদ্রের জলে নাচছেন অঙ্কুশ-রূপা। ভিডিয়োর সঙ্গে অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘মনে পড়ে প্রথম ছবির কথা। তখন আমার টাকাও ছিল না, তাই মানিব্যাগও ছিল না।’ পাশে হ্যাশট্যাগে ‘থ্যাঙ্ক গড’ (ভাগ্যিস) লেখা। অনুরাগীরা যেন শূন্যস্থান পূরণের মতো মন্তব্য বাক্সে লিখলেন, ‘বেঁচে গেছো দাদা’।
অঙ্কুশ অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘সেই সময়ে সত্যিই আমার কাছে কোনও টাকা থাকত না। বাবা যে ১০০-১৫০ টাকা দিত, তা প্যান্টের পকেটে রেখে দিতাম। শ্যুটিংয়ে পৌঁছে গেলে তো বাকি খরচ প্রোডাকশনেরই। সে কথাই লিখেছি। আলাদা করে কাউকে নিয়ে মস্করা করিনি।’’
যদিও তাঁর অনুরাগীরা ধরেই নিয়েছেন, রূপার গ্রেফতার হওয়ার পরেই আচমকা এই পোস্ট দেওয়ার অর্থ, তিনি তাঁর প্রথম নায়িকাকে নিয়েই ঠাট্টা করলেন। কিন্তু সে বিষয়ে অঙ্কুশ কোনও মন্তব্য করলেন না।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বইমেলায় রূপার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, তিনি বেশ কয়েকটি মানিব্যাগ আবর্জনা স্তূপে ফেলছেন। তাঁকে প্রশ্ন করার পরে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন না তিনি। তাঁকে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই তিনি নিজেকে বলি অভিনেত্রী বলে দাবি করেছেন। তাঁর কাছ থেকে একাধিক মানিব্যাগ, নগদ টাকা, একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে, কবে, কোথা থেকে কত টাকা তিনি হাতিয়েছেন। সেখানে বইমেলা ছাড়াও কলকাতার অনেক জনবহুল এলাকার নাম পাওয়া যায়। এমনকি ওই ডায়েরিতে খরচের বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy