ছবিতে অঞ্জন-সৌরসেনী
ছবির চিত্রনাট্য লিখতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। অস্বস্তি হয়েছিল অভিনেতাদের চরিত্র বোঝাতে গিয়েও। আমরা নিজেদের আধুনিক বলে থাকি, কিন্তু আদৌ কি তাই? প্রশ্নটা করলেন অঞ্জন দত্ত। ‘‘আজ যদি নীল এসে বলে সে একটি ছেলেকে বিয়ে করতে চায়, আমি কি মেনে নেব? বা আমার মেয়ে থাকলে সে যদি কোনও বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে লিভ-ইন করতে চাইত? বিশ্বাস করুন খুব সমস্যায় পড়তাম! ‘ফাইনালি ভালোবাসা’র চিত্রনাট্য লিখতে গিয়ে এমন অনেক বিষয় নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছি।’’
ছবিতে তিনটে গল্প। সেগুলোকে একটি করে ব্যাধির নামে নাম দিয়েছেন অঞ্জন। রাইমা সেন, অরিন্দম শীল এবং অর্জুন চক্রবর্তীর গল্পটিকে তিনি ইনসমনিয়া বলছেন। যেখানে অরিন্দমের সঙ্গে রাইমা একটি অ্যাবিউসিভ দাম্পত্যে রয়েছে। অর্জুন চায় রাইমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করতে। কিন্তু রাইমা কি আদৌ অর্জুনকে ভালবাসে না কি তাকে ব্যবহার করে পালাতে চাইছে? অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং সুপ্রভাতের গল্পটির নাম এইচআইভি পজ়িটিভ। অনির্বাণ সমকামী। তার সেবাযত্নের দায়িত্বে থাকা সুপ্রভাত আবার হোমোফোবিক! এ দিকে সৌরসেনী এবং অঞ্জনের গল্পের নাম আর্থারাইটিস। বয়সে অনেকটা বড় অঞ্জনের প্রেমে পড়ে সৌরসেনী। অঞ্জনের তরফে কিন্তু কোনও আবেগ নেই। ভালবাসার এই গল্পগুলো ফাইনালি কোন দিকে বাঁক নেয়, তা নিয়েই ছবি।
ছবির মধ্য দিয়ে দর্শককে ধাক্কা দিতে চান তিনি। পরিচালকের মতে, ‘‘ভালবাসা অর্জন করতে হয়। কোথাও সেটা পরীক্ষিত হতে হবে। অবৈধ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে না গেলে কোনও সম্পর্ক বৈধতা পায় না। শুধু শরীরের প্রেম টেকে না। তবে ভালবাসা কিন্তু শরীর থেকে ধীরে ধারে মনে পৌঁছয়।’’
তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে। পরিচালকের তাতে আপত্তি নেই, ‘‘তর্ক হোক। আমরা কারও চেহারাটাই প্রথমে দেখি। মন অনেক পরে আসে। আত্মিক যোগাযোগ গড়ে ওঠার জন্য শরীরের মধ্য দিয়ে যাওয়া দরকার।’’ কেউ যদি ভাবেন ‘ফাইনালি ভালোবাসা’য় যৌনতার ছড়াছড়ি তা হলে কিন্তু তিনি ভুল ভাববেন! সতর্কবার্তা অঞ্জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy