Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Anjan Dutt Interview

অনেকের সঙ্গে কাজ করি যাদের ছবি ভাল লাগে না, কিন্তু তাদের সাফল্য মুগ্ধ করে: অঞ্জন দত্ত

অনুশোচনা আছে। আছে আনন্দও। কিন্তু সহজে হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন অঞ্জন দত্ত।

নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘হামি ২’ নিয়ে আড্ডায় অঞ্জন দত্ত।

নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘হামি ২’ নিয়ে আড্ডায় অঞ্জন দত্ত। ফাইল চিত্র।

শতরূপা বসু
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:১৫
Share: Save:

প্রশ্ন: নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে অঞ্জন দত্ত!

অঞ্জন: এটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। জীবনে অনেক মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে আমার যোগাযোগ থাকে। সব সময় আমি খুব একটা প্রকাশ করি না। মানে আমি বলছি যে, শিবপ্রসাদের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ওর অভিনয়ের মাধ্যমে। ওর দ্বিতীয় অভিনয় আর আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিক। ‘স্বপ্ন নিয়ে’ বলে একটা ধারাবাহিকে ও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আমার সঙ্গে। সেটা আশির দশকের শেষের দিকে। তার পর নন্দিতা-শিবুর সঙ্গে আমার সরাসরি যোগাযোগ হল যখন ওরা ইটিভিতে কনটেন্ট বাছার দায়িত্ব পেল। সেখানে আমাকে দিয়ে ওরা বেশ কয়েকটা টেলিফিল্ম করিয়েছিল। কাজের সূত্রে যোগাযোগ থাকলেও নিয়মিত আমার সঙ্গে কারওরই খুব একটা যোগাযোগ থাকে না। ওরও নেই। আমি আমার মতো করে ছবি করছি। ও-ও করছে। তা ছাড়া এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা যে, আমি একটু উন্নাসিক, একটু লোকের থেকে দূরে থাকি, সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই না, একটু এড়িয়ে-এড়িয়ে থাকি, একটু ইংরেজ-ঘেঁষা। আমি নিশ্চয়ই খুব বেছে কাজ করি। আর খুব বেশি সংখ্যায় কাজ করিনি। আমার তুলনায় আমার সহকর্মীরা অনেক বেশি কাজ করেছে। কারণ আমি সব কিছুর সঙ্গে নিজেকে রিলেট করতে পারি না। আবার আমি অনেক কিছু পছন্দ করি যেগুলো আমি নিজে করতে পারব না।

প্রশ্ন: যেমন?

অঞ্জন: ‘দ্য গডফাদার’ ভীষণ ভাল লাগে আমার। কিন্তু আমি নিজে গ্যাংস্টার ছবি করতে পারব না।

প্রশ্ন: কেন?

অঞ্জন: কারণ আমার মধ্যে সেটা নেই। আমি একটা সিরিয়াল কিলার নিয়ে প্রচুর ভাল কাজ দেখতে রাজি আছি। কিন্তু আমি জানি না তারা কেমন হয়। আমি যেটা জানি না, যে পাড়াটা চিনি না, সেই পরিবেশে গিয়ে আমি কাজ করতে পারি না। অনেকে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে কোনও শিল্পী নিজের যে জায়গা থেকে ছবি বানাচ্ছে, গান লিখছে, সেটা তার নিজের দখলে থাকলে সে আরও ভাল করে করতে পারে। শুধু গবেষণার উপর ভিত্তি করে ভাল কাজ হয় না।

প্রশ্ন: শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবি করতে রাজি হলেন কেন?

অঞ্জন: আমি অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি, যাদের ছবি আমার সব সময় ভাল লাগে না। আমি নিজে সেগুলো করব না। কিন্তু তার সাফল্য আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। আমি যেটা করছি সেটাই ঠিক, আর অন্যেরা যেটা করছে সেটা ঠিক না— এ রকমটা আমার মধ্যে কোনও দিনও ছিল না। শিবু কত বড় একটা জায়গায় এসেছে সেটা মুগ্ধ করার মতো বিষয়। হয়তো একটা ‘গোত্র’ বা ‘বেলাশেষে’ বা ‘বেলাশুরু’র মতো ছবি আমি নিজে করব না। কিন্তু ‘বেলাশেষে’ যে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সেটা আমি অস্বীকার করব কী করে? তেমনই আমার সহকর্মীরাও হয়তো ‘বং কানেকশন’ করতে পারবে না। কিন্তু ছবিটা যে একটা বিশাল বদল এনেছিল সেটাও তারা আস্বীকার করবে বলে আমার মনে হয় না। যখন বুঝি কেউ আমার অভিনয় সত্তাটাকে চাইছে, শুধু ‘বেলা বোস’ লিখেছি বলে চাইছে না— সেটা সৃজিত হোক, যার ছবি আমার সব সময় ভাল লাগে না, বা শিবু— আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি।

প্রশ্ন: আপনি শিবপ্রসাদের কোনও ছবি দেখেছেন?

অঞ্জন: হ্যাঁ-হ্যাঁ। ‘বেলাশেষে’ হলে গিয়ে দেখেছি। এবং এত লোক দেখছে, আনন্দ করছে সেটাকে খেলো করার কোনও অধিকার আমার নেই। আমার স্ত্রীর অসম্ভব ভাল লেগেছে। আমি আবার যে দিন গিয়েছিলাম, সে দিন দেখলাম কিছু জাপানি পর্যটক বসে দেখছে! আমার অদ্ভুত লেগেছিল। আমি হলে গিয়ে ‘কণ্ঠ’ দেখেছি। শিবুকে ফোন করে বলেছি যে, ওর অভিনয় আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে। তার পর ‘গোত্র’ দেখেছি। বিশেষ করে নাইজেলের অভিনয় দেখার জন্য। আবার যেমন ‘ইচ্ছে’ আমার ভীষণ কাছের ছবি। আমার নিজের জায়গার ছবি। মাত্র তিনটে দৃশ্য, কিন্তু আমার মনে হল, চরিত্রটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছবিটাও একটা জরুরি বিষয় নিয়ে কথা বলছে। শুধু নির্মল আনন্দের ছবি নয়। এর মধ্যে একটা দুঃখও আছে। এবং আমি নিজেকে দেখতে পেলাম সেখানে। যেমন আমি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’-এ নিজেকে দেখতে পেয়েছিলাম। শুধু যে অপর্ণা সেনের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব বলে করেছি, তাই নয়। কারণ আমি ‘ইতি মৃণালিনী’ বা ‘১৫ পার্ক অ্যাভিন্যু’ করিনি। সে রকম ভাবেই ‘হামি ২’তে রাজি হয়ে গেলাম।

প্রশ্ন: আপনি ‘হামি ২’-র ট্রেলারে বাচ্চাটিকে বলছেন যে ‘বিস্ময় হতে যেয়ো না, তা হলে বিস্মিত হয়ে যাবে’। মানে কেউ আপনার পরে এসে আপনাকে মেরে বেরিয়ে যাবে। এ রকম প্রতিযোগিতার মানসিকতা আপনার কখনও হয়েছে?

অঞ্জন: আমি বিশ্বাস করি যে মেধা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা যায় না। মেধা নিজে বেড়ে ওঠে। এ বেশি মেধাবী, ও বেশি মেধাবী— এ ভাবে নম্বর দিয়ে হয় না। মানে যে ক্যুইজের খুব ভাল উত্তর দিচ্ছে, সে-ই বেশি বুদ্ধিমান? আর যে দিতে পারছে না, সে বুদ্ধিমান নয়? এটা আমি বিশ্বাস করি না।

প্রশ্ন: শিল্প আপনার কাছে নেহাতই শিল্প, না কি অস্ত্র?

অঞ্জন: আমার কাছে কাজ। যে কাজটা আমি উপভোগ করছি এবং যে কাজটা আমাকে বাঁচতে সাহায্য করছে। অস্ত্র নয়। আমার মনে হয় অভিনয়, পরিচালনা ডাক্তারির মতোই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মানুষকে আনন্দ দেওয়া, ভাবানো। একটা চরিত্রে পার্ট করা আমার কাছে একটা কাজ। এবং সেটা যদি আমি ঠিক করে করতে পারি, ভাল লাগে। কাজটা যে সহজ, তা নয়। লাগে বলেই করছি। যে দিন ভালো লাগবে না, করব না।

প্রশ্ন: আপনার পরের প্রজন্মর কাছে এটা প্রায় অবিশ্বাস্য যে অঞ্জন দত্তের প্রায় ৭০ হয়ে গেল!

অঞ্জন: (মৃদু হেসে) হ্যাঁ... যত দিন যাচ্ছে শারীরিক ভাবে অসুবিধে হয়ে পড়ছে। কারণ সুস্থ না থাকলে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। অভিনয় করাও সম্ভব নয়। যত ছোট চরিত্রই হোক, তাকে তো আমি কিছুটা দিয়ে দিচ্ছি... মানে আমার আয়ুটা কমে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: আপনার মনের বয়স কত?

অঞ্জন: আমি চেষ্টা করি আমার পরের প্রজন্মর সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে। না হলে আমি আমার কিছু সহকর্মীর মতো বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগব।

প্রশ্ন: তাঁরা কারা?

অঞ্জন: আমি নাম বলতে চাই না। কিন্তু বয়স হয়ে গিয়েছে বলে তারা সেনাইল হয়ে গিয়েছে। তাদের রাগ-আভিমান বেড়েছে। আমার বাবার বেড়েছিল। ‘আমাদের সময়টা ভাল, তোমাদের সময়টা খারাপ’— এটা শুনতে শুনতে আমি বড় হয়েছি। কিন্তু আমি এটা মানি না। সেলুলয়েড ভাল, ডিজিটালটা নয়, এ সব ভাবি না। বদলকে মেনে নিতে হবে। আমি চেষ্টা করি, যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারা অল্পবয়সি হোক। কারণ তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ করে। যাতে আমি খিটখিটে না হয়ে যাই। সেইটা আমি হইনি এখনও। বা অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া, অকারণ রাগ করার মধ্যে আমি নেই। আমি কখনওই বলছি না যে, সবাইকে ভাল-টাল বলে, নিরাপদ ভাবে এগোব। না, আমি সেটা করিও না। কিন্তু অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া একটা বার্ধক্যের লক্ষণ। চেষ্টা করি, অল্পবয়সিদের দলে যাতে আরও কিছু দিন থাকতে পারি। ভাবতে অবাক লাগে, আমার প্রতিযোগী রূপম (ইসলাম)। কিন্তু ভাবতে আনন্দও হয় যে, আমার প্রতিযোগী রূপম। বা আমার প্রতিযোগী শিবু। বা প্রসূন (চট্টোপাধ্যায়)। ৭০ বছর বয়সে আমার প্রতিযোগী অনির্বাণ (ভট্টাচার্য)। কিন্তু তবুও যে আমি কাজ করতে পারছি, হয়তো কম টাকার কাজ, তবুও যে নিজের মতো করে চালিয়ে যেতে পারছি, এটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ কলকাতার কাছে।

অঞ্জনের মতে, যদি মৃত্যুচিন্তা আসে সেটাকে মেনে নিতে হবে।

অঞ্জনের মতে, যদি মৃত্যুচিন্তা আসে সেটাকে মেনে নিতে হবে। ফাইল চিত্র।

প্রশ্ন: মৃত্যুচিন্তা আসে?

অঞ্জন: নিশ্চয়ই আসে। সেটাকে সুন্দর করে যদি মেনে না নিতে পারি, তা হলে তো খুব ভুল হবে। আমি চাই না খুব ভুগে ভুগে মারা যেতে। বা অনেক দিন ধরে ভোগা এবং অন্যদেরও ভোগানো। আমার মা খুব কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছেন। তিনিও ভুগেছেন, আমরাও ভুগেছি। এক সময়ে মনে হয়েছে, চলে যাক। বাবা কাউকে ভোগাননি। আমার খুব কাছের মানুষ, মৃণাল সেনকে খুব কষ্ট পেতে দেখেছি। একটা বিন্দুতে মনে হয়েছিল যে এই কষ্টটা আর নেওয়া যাচ্ছে না। ওই আঁকড়ে থাকার ব্যাপারটা যদি চলে যায়, তা হলে মৃত্যুকেও মেনে নেওয়া যায়। মেনে নেওয়া যায় যে আমার সময় শেষ, আর দেওয়ার কিছু নেই। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেই মনে হওয়াটা আমার নেই। আরও কিছু দেওয়ার আছে। চার-পাঁচ বছর তো মনে হচ্ছে কাটিয়ে দিতে পারব।

প্রশ্ন: আপনি ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা অভিনেতা। কিন্তু সে ভাবে আপনার শহর বা সরকার কি আপনাকে পুরস্কৃত করল? নিদেনপক্ষে একটা বঙ্গভূষণ?

অঞ্জন: (প্রচণ্ড হেসে, যা এক বিরল দৃশ্য) একেবারেই এ সব মনে হয় না। জাতীয় পুরস্কারটা আরও আগে পেলে ভাল হত। কারণ ‘রঞ্জনা...’র থেকে অনেক ভাল কাজ আমি তার আগে করেছি। আমি আমার প্রথম অভিনয়ের জন্যেই ইটালিতে একটা বড় পুরস্কার পেয়েছিলাম। সুতরাং সেটা পুষিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় দেখা হলে প্রচুর লোক আমাকে আমার গানের কথা বলে, হয়তো অভিনয়ের কথা কম বলে। এটা আমার কাছে মজাই লাগে। আমি তো সবই করেছি। বাবা বলেছিল, ‘করিস না, মারা যাবি’। বাবার আপত্তি ছিল, আমি এই পেশায় আসছি। কিন্তু আমি তো মারা যাইনি। আমি তো পেরেছি। এবং সেটা তো কলকাতার মানুষই আমায় দিয়েছে। লোকের সঙ্গে সঙ্গে আমারও মনে হতে হবে যে, কাজটা আমি ভাল করেছি। যেমন অনেক ছবিতে আমি পারিনি...।

প্রশ্ন: যেমন?

অঞ্জন: যেমন ‘যুগান্ত’তে আমি অনেক বেটার করতে পারতাম। বয়স্ক চরিত্রটা আরও ভাল করা যেত। যতটা ‘শিল্পী’তে আমি খেটেছি, ততটা মনে হয় ‘যুগান্ত’তে খাটিনি। বা ‘মহাপৃথিবী’তে যতটা ভাল করতে পেরেছি, ‘অন্তরীণ’-এ ততটা ভাল করতে পারিনি। প্রত্যেকটা চরিত্রে নিজের কিছু না থাকলে আমার খুব অসুবিধে হয়। তাই সব চরিত্রে আমি নিজের কিছু রাখি। শিবুর ছবিতে যেমন কালো কোটটা আমার।

প্রশ্ন: কী কী পাওয়া বাকি রয়ে গেল?

অঞ্জন: (অনেক ভেবে...) আমি জানি না, আরও চ্যালেঞ্জ যদি পাওয়া যেত। বলা খুব মুশকিল, আমি এটা বলতে পারি যে, আমি আগামী চার-পাঁচ বছর যদি ঠিকঠাক কাজটা করে যেতে পারি, চেষ্টা করব আমার যে জায়গাটা পুরনো হয়ে গিয়েছে, সেই জায়গা থেকেই ইন্টারেস্টিং কিছু করার। অনেক ভুল করেছি, অনেক মানুষকে কষ্টও দিয়েছি। সেটা যদি আর না দিই ভাল হয়। আবার কিছু কাজ না করার আফসোসও আছে। যেমন অনির্বাণের ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র চৌধুরীর রোলটা। শিবুর ছবির জন্য এত ব্যস্ত ছিলাম যে, করতে পারিনি। পরে দেখে মনে হল, ‘ইশ, ঢুকে পড়লেই হত, জমে যেত’! কিন্তু সব কি সম্ভব? এটা বলতে পারি, এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো না নেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: মৃণাল সেনের চলে যাওয়ার পর আর কাউকে গুরু মানেন?

অঞ্জন: গুরু তো উনি ছিলেন না। আমার বন্ধু, আমার শিক্ষক, আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ, বাবার মতো। আমি যা দিয়েছি ওঁকে, তার চেয়ে উনি আমাকে অনেক বেশি দিয়েছেন। আগামী বছর মৃণাল সেনের শতবর্ষ হচ্ছে। আমি নিজের মতো করে একটা ছবি করব ওঁকে উৎসর্গ করে, মজার ছবি। কিন্তু আমি খুব মিস করি। ওঁর সঙ্গে তো আমি সহকারী হিসেবেও কাজ করেছি। আমার পরিচালনার পিছনে সেটারও অবদান আছে। তবে ওঁর মতো ছবি আমি কোনওদিনও করতে চাইনি। উনি ছবি করে ফ্রান্সে যাচ্ছেন। আর আমার ছবি যদি বসুশ্রীতে না চলে, তা হলে আমার কষ্ট হয়। এতটাই আলাদা আমরা। কিন্তু এক মাস কথা না বললে মনখারাপ হয়ে যেত। আসলে আমি যার সঙ্গেই কাজ করেছি খুব মিশে গিয়ে করেছি। ইদানীং সেটা আর হয় না। মানে শুধু আমার শ্যুটিংয়ের দিন নয়, অন্য দিনও আমি যেতে চাই। কিন্তু এখন আমাকে কেউ সে ভাবে ডাকে না। হয়তো বয়সের তফাতের জন্য হয় না। কিন্তু আমার ছবিতে আমি ডাকি। আমি যেমন ব্যোমকেশ করার সময় যিশুর জন্য শাশ্বতকে ডেকে আনি। বলি, ‘তুই না থাকলে ও পারবে না’। শাশ্বত চলে আসে। এটা খুব মিস করি। এটা একটা বদল, যেটার সঙ্গে মানাতে অসুবিধে হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy