সুদীপ-অনিন্দিতা
জন্মদিনেও শ্যুটিং থেকে ছুটি নেন না। কিন্তু বিবাহবার্ষিকীতে ছুটি চাই-ই চাই। জাতীয় ছুটির দিনে বিয়ে করলে কেমন হয়? চাইলেও কেউ কোনও দিন কাজে ডাকতে পারবে না। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ।বিয়ের দিন পাকা করে ফেললেন টেলি অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী এবং অভিনেতা সুদীপ সরকারের। ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস, ২৬ জানুয়ারি।
চার মাসের প্রেম আইনি বন্ধনে বাঁধা পড়ল বুধবার দুপুরে। কলকাতার এক হোটেল ভাড়া করে বিয়ে করলেন যুগল। ৫৫ জন অতিথির উপস্থিতিতে আংটি বদল, সিঁদুরদান, মালাবদল হল অনিন্দিতা-সুদীপের। বিকেল হতেই শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা দিলেন নববধূ। বৃহস্পতিবার থেকে আবার যে যার মতো স্টুডিয়োপাড়ায়।
আনন্দবাজার অনলাইনকে অনিন্দিতা জানালেন, বাঙালি খাবারে ঠাসা ছিল বিয়ের মেনু। সাদা ভাত, ডাল, তরকারি, ঘিয়ে আলুভাজা, মটন, চিকেন, চাটনি, বেকড রসগোল্লা, আইসক্রিম, পানে পেটপুজো জমে গেল অতিথিদের।
অনিন্দিতার কথায়, ‘‘গতকাল ঘটনাচক্রে ছুটি পেয়েছিলাম আমি। আর আজ প্রজাতন্ত্র দিবস বলে এমনিই ছুটি। ইচ্ছে করেই এই তারিখটা বেছে নিয়েছি। সারা জীবন যাতে কেউ আমাদের বিবাহবার্ষিকীতে কাজে ডাকতে না পারে।’’
এমন ‘দুষ্টু বুদ্ধি’ যদিও বর-কনের মাথায় প্রথমে আসেনি। অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর কথায় জানা গেল, অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘জাতীয় ছুটিতে বিয়ে কর। তা হলেই সারা জীবন ছুটি পাবি, ঘুরতে যেতেও পারবি।’’ মানালি এবং পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ও ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে সাতপাক ঘুরেছিলেন। বন্ধুকেও তাই এমন বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
সিঁদুর দানের ভিডিয়োয় মানালি। যা এখন তাঁরই ফেসবুক প্রোফাইলে। লালে সজ্জিত কনে একটু লজ্জামাখা মুখে। সুদীপ যদিও মস্করা করতে করতেই বিয়ে করছেন। স্ত্রীর কপালে সিঁদুর দিয়েও শান্তি নেই তাঁর। অনিন্দিতার নাকে সিঁদুর না পড়ায় হতাশ সুদীপ স্ত্রীর মাথাও ঝাঁকিয়ে দিলেন! তাও নাকে সিঁদুর পড়ল না। বরের কাণ্ডে হেসে উঠলেন অতিথিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy