(বাঁ দিক থেকে) অনিল শর্মা, নাসিরুদ্দিন শাহ, পল্লবী জোশী। ছবি: সংগৃহীত।
বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ এবং অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদর ২’। গত বছর এবং চলতি বছরের অন্যতম চর্চিত এবং সফল দুই ছবি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত গোড়া থেকেই। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত করার ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেও কম জলঘোলা হয়নি। ছবির সমালোচনায় মুখর বহু নামজাদা ব্যক্তিত্ব। যদিও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি ছবির বক্স অফিস ব্যবসায়। বরং, বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া ‘গদর ২’ও ব্যবসায়িক ভাবে সফল একটি ছবি। যদিও ছবিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সমীকরণ যে ভাবে দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নাসির জানান, এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ বার অভিনেতার ওই মন্তব্যের জবাব দিলেন ছবির পরিচালক অনিল শর্মা।
সম্প্রতি ‘গদর ২’ সম্পর্কে নাসিরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ছবির পরিচালককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ওঁর অভিনয়ের ভক্ত। কিন্তু যদি আমার বানানো ছবি নিয়ে উনি এমন কিছু বলে থাকেন, তা হলে আমি ওঁকে ছবিটা আগে দেখতে বলব। আমার বিশ্বাস, ওঁর ধারণায় বদল আসবে। নাসির জানেন, আমি রাজনীতির কথা মাথায় রেখে সিনেমা বানাই না। আমার সিনেমা মানে শুধুই মশলা।’’ শুধু ‘গদর ২’ নয়, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র মতো ছবিকেও বার বার একহাত নিয়েছেন ‘আ ওয়েডনেস ডে’ খ্যাত অভিনেতা। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ নিয়ে নাসিরের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ছবির অন্যতম প্রযোজক এবং অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, ‘‘আমি যখন কোনও বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলি, তখন সেই বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে কথা বলি। নাসিরুদ্দিনকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি, তবে আমার মনে হয় ওঁর আগে ছবিটা এক বার দেখা উচিত। আমি ওঁকে দীর্ঘ দিন ধরে চিনি, ওঁর সঙ্গে কাজও করেছি। তাই ওঁর মতো শিল্পী যখন এমন কথা বলেন, তখন খারাপ লাগে।’’
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নাসির আক্ষেপ করেন, ‘গদর ২’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র মতে ছবির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে এমন ছবি, যা আসলে এই সময়ের বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরছে। নাসিরের মতে, ‘‘সুধীর মিশ্র, হংসল মেহতার মতো পরিচালকরা চেষ্টা করছেন সত্যিটাকে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরতে। স্রেফ জনপ্রিয়তার জন্য ‘গদর ২’-এর মতো ছবি নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে। তবে আমি আশা করব, হংসল, সুধীরের মতো পরিচালকরা যাতে তাতে হতাশ না হয়ে পড়েন। আজ থেকে ১০০ বছর পরে যখন মানুষ ‘ভিড়’ আর ‘গদর ২’ দেখবেন, তখন তাঁরা বুঝতে পারবেন, কোন ছবি সত্যিটাকে পর্দায় তুলে ধরেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy