বাবা চাঙ্কি পাণ্ডের লড়াই নিয়ে সরব অনন্যা। ছবি: সংগৃহীত।
স্বজনপোষণের তকমা থাকায় বার বার কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। তবে সেই সবে কান না দিয়ে অভিনয়েই মন দেবেন বলে জানিয়েছেন অনন্যা পাণ্ডে। একটা সময়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারকা সন্তান হলেও তাঁকেও লড়াই করতে হয়েছে বিস্তর। এই মন্তব্যের জন্যও সমাজমাধ্যমে ট্রোলড হয়েছিলেন। এ বার নিজের বাবার লড়াই নিয়েই মুখ খুললেন অনন্যা।
বাবার লড়াই থেকে অনেক কিছু শিখেছেন অনন্যা। সেই শিক্ষা তাঁকে মাটিতে পা রাখতে শিখিয়েছে, জানান অনন্যা। জন্মের পর থেকেই দেখেছেন, বাবার কেরিয়ারের ওঠাপড়া। বিশেষত, জ্ঞান হওয়া পরে অনন্যা দেখেন, বাবা চাঙ্কির কেরিয়ার ডুবন্ত। আশি ও নব্বইয়ের দশকে তারকার তকমা ছিল চাঙ্কির। অনন্যার জন্ম ১৯৯৮ সালে। সেই সময় থেকেই হাতে কাজ কমতে থাকে চাঙ্কির। তখন অন্য ধরনের চরিত্রে কাজ করা শুরু করেন অভিনেতা।
অনন্যার কথায়, “আমি দেখতাম, বাবা বাড়িতেই বসে আছে। হয়তো দু-এক বার বাবার সঙ্গে ছবির সেটে গিয়েছিলাম। এমন নয় যে বাবা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতেন। আমাদের বাড়ির বাইরে কিন্তু বাবাকে দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমাতেন না।”
একটা সময়ে নায়কের চরিত্রেই অভিনয় করতেন চাঙ্কি। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পরে অন্য ধরনের চরিত্রে কাজ করতে তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। নির্দ্বিধায় নতুন ধরনের চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেতা। যে কোনও ভাষায়, চরিত্র যেমনই হোক, নিজে মন দিয়ে অভিনয় করতেন। বাবার এই গুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে অনন্যাকেও।
অভিনেত্রীর আরও বলেন, “যে কোনও ধরনের পরিবর্তন নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতেন বাবা। এটা সত্যিই বড় গুণ বলে মনে হয়।” তবে বাবার সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে মতের অমিল রয়েছে অনন্যার। চাঙ্কি চান, মেয়ে যেন বড় বাজেটের মশলাদার ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু অনন্যার ইচ্ছে, ছবি ছোট ব্যানারের হলেও চরিত্র যেন গুরুত্বপূর্ণ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy