সাত সুরের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে সমগ্র সঙ্গীত জগৎ। আগামী ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি এই সাত সুরের ঝঙ্কার তুলবে ‘পারম্পরিক’। প্রান্তিক ও অবহেলিত পরিবারের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে কাজ করে এই সংস্থা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সঙ্গীতের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এই সংস্থা। শান্তিনিকেতনেও ইতিমধ্যেই ছাপ রেখেছে তারা। গত তিন বছর ধরে দু’দিন ব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান করে থাকে এই সংস্থা। এ বারও সেই ধারাই বজায় থাকছে।
শনিবার ও রবিবার লিপিকা সভাগৃহে অনুষ্ঠান। প্রোগ্রাম হেড পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কলকাতায় উচ্চমানের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন করে আসছে পারম্পরিক। এখানে পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মতো ভারতের শ্রেষ্ঠ শিল্পীরা এবং পাশাপাশি এই প্রজন্মের গুণী শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেছেন।”
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, “শান্তিনিকেতনের শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপটে আমরা ২০২২ সাল থেকে দু’দিনের একটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন শুরু করেছি। এই সম্মেলন বসন্তের বার্তা নিয়ে শান্তিনিকেতনের একেবারে নিজস্ব প্রাকৃতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে আমরা মনে করছি। এই কয়েক বছরের শ্রোতা সমাগম আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা চাই শান্তিনিকেতনের শিল্পমনস্ক ও সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ এই সম্মেলনে শামিল হোন ও নতুন প্রজন্মে ভাল শ্রোতা তৈরি হোক।”
সমাজ ও সংস্কৃতিকে আলাদা মনে করে না ‘পারম্পরিক’। পার্থ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা সংস্কৃতি ও সমাজকে এক স্তরেই রাখি। কারণ পুরোটাই সমাজ কল্যাণের জন্য আমরা করি। একটা সুস্থ সমাজ গড়তে গেলে যেমন গানবাজনার প্রয়োজন, তেমনই দরিদ্র বা পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকাও দরকার। আর আমাদের সংস্থা ও কাজকর্ম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত। শ্রীনিকেতনেও সংস্কৃতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক কাজ হয়েছে। আমরাও তেমন কাজই করে থাকি।”