অন্য ধরনের ধারাবাহিক ‘লেফ্ট রাইট লেফ্ট’-এর মিলিটারি ক্যাম্পে ক্যাডেট আলেখ শর্মাকে
‘মিলে জব হম তুম’-এ রোম্যান্টিক ময়ঙ্কের চরিত্রে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। অনেকে আবার জীবনসঙ্গী হিসেবে মনে মনে ময়ঙ্কের মতো ভাল ছেলের স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছিলেন। আর এ ভাবেই দর্শকেরা ভালবেসে ফেলেছিলেন অভিনেতা অর্জুন বিজলানিকে। মাঝে বেশ কিছু বছর সে ভাবে তাঁকে পরদায় না দেখা গেলেও অর্জুন আবার ফিরেছেন ‘ঝলক দিখলা যা’, ‘নাগিন’-এর মাধ্যমে।
খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন অর্জুন। বাবা সুদর্শন বিজলানি চাইতেন যে, ছেলে পারিবারিক ব্যবসায় নামুক। তবে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নটাকেই আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন অর্জুন। কেরিয়ারে সাফল্যের পাশাপাশিই চূড়ান্ত ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। কিন্তু সবটাই বেশ সহজে নিতে পারেন। বললেন, ‘‘কাজের দিক থেকে দেখতে গেলে আমার জার্নিটা রঙিন। কত ধরনের চরিত্র করেছি! আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করতে চাই।’’
বাবাকে না পেলেও মা আর স্ত্রীকে বরাবর পাশে পেয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন হাতে গোনা কিছু বন্ধুও। বললেন, ‘‘আগে শুধু মা ছিলেন। এখন স্ত্রী আর বাচ্চাও তো ভাগ করে নেয়। আর ওদের দেখে নিজেরও ভাল কাজ করতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, আরও পরিশ্রম করি।’’
আর ব্যক্তিগত জীবনে অর্জুন কেমন? ‘‘ভীষণই ফান-লাভিং। কথা বলতে ভালবাসি। আর তাই নতুন নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ জমাতেও দারুণ লাগে। এ ছাড়া খুব কাছের বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করি মাঝেমাঝে,’’ বলছেন অভিনেতা। তবে শ্যুটিং না থাকলে নাকি বাড়িতে থাকতেই ভালবাসেন অর্জুন। আর এই ভাবে তাঁকে ঘরকুনো করে দেওয়ার পুরো ক্রেডিটটাই নাকি ছেলে আয়ানের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্জুন-আয়ানের ছবি ভর্তি। ‘‘আমার জীবনের শূন্যতাটা আয়ান পূরণ করে দিয়েছে। আমি দর্শকদের এন্টারটেন করি। আর আয়ান করে আমাকে!’’ হেসে ফেললেন অর্জুন। তবে গর্বিত বাবাকে ঘরকুনো করার পাশাপাশি অনেক দায়িত্ববান, মনোযোগীও করে তুলেছে আয়ান। বই পড়়া ছাড়াও নাকি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে দারুণ মন অর্জুনের। বললেন, ‘‘আগে প্রচুর ফুটবল খেলতাম। এখন ১৪ ঘণ্টা ক্যামেরার সামনে কাজ করার পর আর এনার্জি থাকে না। ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট নিয়েও নেমে পড়ি।’’
কেরিয়ারে অর্জুনের সবচেয়ে কাছের ধারাবাহিক ‘লেফট রাইট লেফট’, ‘মিলে জব হম তুম’। ‘‘কারণ ওগুলোই আমাকে দাঁড়ানোর জায়গা করে দিয়েছে। এটাও শিখেছি যে, সব সময় লাইমলাইটে থাকা যায় না। কখনও না কখনও সেই জায়গাটা ছেড়ে দিতে হয়। তবে আমি খুশি যে আবার ফিরে আসতে পেরেছি,’’ অকপট অর্জুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy