ছবি: পৃথ্বীরাজ পাল
প্র: রাজনীতি আর শিবিরবদল নিয়ে যা চলছে ইন্ডাস্ট্রিতে, সেখানে আপনার অবস্থান কী?
উ: রাজনীতি ছাড়া তো জীবন হয় না! তবে শিবিরবদল খুব বেশি চোখে পড়েনি আমার। একটা শিবিরে জয়েন করেছে হয়তো কিছু মানুষ।
প্র: আপনিও কি কোনও দলে যোগ দেবেন বলে ভাবছেন?
উ: ভাবতেও পারি। রাজনৈতিক সচেতনতা আমার মধ্যে যথেষ্টই আছে। লোকে বলে, আমি মানুষের সঙ্গে মিশতে পারি। ভোকাল টনিক দিতে পারি। পরিস্থিতি এলে রাজনীতিতে যোগ দেব।
প্র: অভিনয় স্কুল খোলা নিয়ে ভাবছেন শুনছি...
উ: ভাবছি। জিনিসটা মাথায় আছে। কিন্তু এখনও এটা নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি।
প্র: ভাবনাটা এল কেন?
উ: কারণ কলকাতায় অভিনেতাদের ঠিক মতো গাইড করার কোনও ব্যবস্থা নেই। যে সব জায়গায় অভিনয় শেখানো হয়, সেখানকার পদ্ধতি একটু প্রাচীন বলে মনে হয়েছে আমার। ভয়েস মডিউলেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমি জানি সেটা। কিন্তু শুধু সেটা শেখালে হবে না। মিডিয়াকে কী ভাবে ডিল করতে হয়, ক্রাউডকে কী ভাবে হ্যান্ডল করতে হয়, এগুলোও দরকারি। আমরা যখন কাজ শুরু করেছিলাম, তখন এ সবের দরকার হতো না। পরিচালকরা সেটেই অভিনয়ের খুঁটিনাটি শিখিয়ে নিতেন। এখন সেই সময়টাই নেই! আগে তিন মাস ধরে একটা ছবির শুটিং হতো, এখন ১২ দিনে শেষ হয়ে যায়। তবে আমার পুরো পরিকল্পনাটাই সময়সাপেক্ষ।
প্র: এখন লিড অভিনেতাদের সংজ্ঞা পাল্টে গিয়েছে। লিড অভিনেত্রীদের সংজ্ঞাটা কেন বদলাচ্ছে না?
উ: আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বেশ কিছু অভিনেত্রী আছেন, যাঁদের যথাযথ ভাবে এখনও ব্যবহার করা হয়নি। এটা মাইন্ডসেটের সমস্যা। সরু কোমরের ক্রাইটেরিয়া থেকে এখনও বেরোতে পারিনি আমরা। একটি শ্যামলা মেয়েকে শুধু চাপা রঙের মেয়ের চরিত্রেই নেওয়া হবে কেন? যে কোনও চরিত্রে নেওয়া হবে না কেন? এটা নির্মাতা-দর্শকের চিন্তাভাবনার সমস্যা। তার মধ্যেও যে আমার নাম দশটা লোকে জেনেছে, চোদ্দো পুরুষের ভাগ্য ভাল (হাসি)!
প্র: সুদেষ্ণা রায়-অভিজিৎ গুহের ‘সামসারা’ কেন পছন্দ হল? ওখানে আপনার চরিত্রটি তো খুব বড় নয়...
উ: প্রথমত সুদেষ্ণাদি-রানাদার জন্যই। ওঁদের সঙ্গে ‘বাড়িওয়ালি’র সময় থেকে পরিচয়। অনেক দিন ধরেই কথা হচ্ছিল, কিন্তু টেলিভিশনে কাজ করলেও ছবিতে কিছুতেই হচ্ছিল না। তার পরে সুদেষ্ণাদি ফোনটা করে প্রথমেই বললেন, ‘দ্যাখ, প্রধান চরিত্রে কিন্তু তিনটে পুরুষ।’ আমিও বললাম, ‘সে আর নতুন কথা কী!’ তবে ওঁরা কিছু বললে, ‘না’ করাটা কঠিন। ছবিটা করে আমার কেরিয়ারে বিরাট টার্নিং পয়েন্ট আসবে, তা হয়তো নয়। তবে রোলটা ভীষণই ইন্টারেস্টিং।
প্র: সামনে আর কী ছবি করছেন?
উ: কিচ্ছু না... আমি বেকার (জোরে হাসি)। কিন্তু হাতে ছবি না থাকলেও তো দেখছি, গসিপে থাকছি। তার মানে আই অ্যাম ইন নিউজ়!
প্র: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনার সমীকরণ নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy