(বাঁ দিকে) কিয়ারা আডবাণী। জাহ্নবী কপূর (ডান দিকে)। ছবি-সংগৃহীত।
২০১৪ থেকে বড় পর্দায় কাজ শুরু অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর। তার পর থেকে কিয়ারা-অভিনীত অধিকাংশ ছবিই বক্স অফিসে হিট। তাই কর্ণ জোহরেরও স্নেহধন্যা তিনি। বি-টাউনে ‘মিষ্টি’ নায়িকা হিসেবে পরিচিত কিয়ারা। কিন্তু বাস্তবে তিনি নাকি একদমই এমন নন। দাবি করলেন এক বিমানসেবিকা।
পর্দায় ‘মিষ্টি’ নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করলেও, বাস্তবে নাকি কিয়ারা খুব নাকউঁচু। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছেন সেই বিমানসেবিকা। ভিডিয়োয় তিনি বলছেন যে, কিয়ারাকে কাজুবাদাম ও আমন্ড দিতে গিয়েছিলেন বিমানের আর একজন কর্মী। তাঁর সঙ্গে নাকি ভাল ব্যবহার করেননি কিয়ারা। যদিও অভিযোগকারী বিমানসেবিকা জানান, তিনি সরাসরি কিয়ারার সঙ্গে কথা বলেননি।
এই ভি়ডিয়োতে নেটাগরিকরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। নেটাগরিকের একাংশের দাবি, “বিমানসেবিকা সত্য ফাঁস করেছেন।” তবে, কিয়ারার অনুরাগীরা কোনও প্রমাণ ছাড়া এই দাবি মানতে নারাজ। ভিডিয়োটিতে বিমানসেবিকা এমন মন্তব্যও করেন যে, কিয়ারা একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেন। তাই অভিনেত্রীকে তাঁর পছন্দ নয়। আর এতেই অনুরাগীদের প্রশ্ন, ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই কি কিয়ারাকে নিয়ে এই ভিডিয়ো করেছেন তিনি?
সেই বিমানসেবিকা ভিডিয়োয় কথা বলেছেন বলিউডের আরও দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে। তিনি জানান, জাহ্নবী কপূর নাকি খুবই বিনয়ী। এক বার ইমার্জেন্সি আসনে বসে ঘুমোচ্ছিলেন জাহ্নবী। সেখান থেকে উঠে যেতে বলা হয় তাঁকে। একটুও বিরক্তি প্রকাশ না করে আসন ছেড়ে দেন তিনি।
অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডেরও প্রশংসা করেন এই বিমানসেবিকা। অনন্যার কথাবার্তায় রসবোধ লক্ষণীয়। কিন্তু একটুও দাম্ভিক নন তিনি। একটি ঘটনা মনে করে বিমানসেবিকা বলেছেন, “এক বার বিমান অবতরণের আগে অনন্যা শৌচালয়ে যেতে চান। সমস্ত যাত্রী তখন বিমান থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর অনন্যা জানান, তাঁকে শৌচালয়ে যেতেই হবে। তিনি কোনও ভাবেই সামলাতে পারছেন না।” তবে এই ভিডিয়োয় বিমানসেবিকা যা যা বলেছেন, তার সত্যতা কতখানি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটাগরিকের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy