সন্তানের আকাঙ্ক্ষায় সারোগেসি থেকে আইভিএফ, হোমিওপ্যাথি থেকে আয়ুর্বেদ— কিছুই যে বাদ দেননি অমৃতা রাও-আরজে অনমোল! আর তা করতে গিয়ে কাটিয়ে এসেছেন জীবনের দুঃসহ এক অধ্যায়ও। সম্প্রতি নিজেদের ইউ টিউব চ্যানেলে মনের গোপনে থাকা সেই দুঃখকেই প্রকাশ্যে এনেছেন তারকা দম্পতি।
মনের কথা খুলে বললেন অমৃতা-অনমোল।
মা-ঠাকুরমারা প্রায়ই বলেন, ‘মা হওয়া কি মুখের কথা?’ সে কথা কতটা খাঁটি, নিজেদের জীবনেই তা উপলব্ধি করেছেন অমৃতা রাও-আর জে অনমোল। সন্তানের আকাঙ্ক্ষায় সারোগেসি থেকে আইভিএফ, হোমিওপ্যাথি থেকে আয়ুর্বেদ— কিছুই যে বাদ দেননি তাঁরা! আর তা করতে গিয়ে কাটিয়ে এসেছেন জীবনের দুঃসহ এক অধ্যায়ও। সম্প্রতি নিজেদের ইউ টিউব চ্যানেলে মনের গোপনে থাকা সেই দুঃখকেই প্রকাশ্যে এনেছেন তারকা দম্পতি।
নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে জীবনের ব্যক্তিগত বহু কথা-অভিজ্ঞতাই অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন অমৃতা-অনমোল। মাতৃত্বের কথা, তার সঙ্গে জুড়ে থাকা হাজারো চ্যালেঞ্জ, শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি, হরেক সমস্যা— সব নিয়েই চর্চা করছেন মন খুলে। সেই অনুষ্ঠানেই এ বার তারকা দম্পতি জানালেন, মা হতে চেয়ে সারোগেসির পথে হেঁটেছিলেন অমৃতা। কিন্তু একেবারেই প্রথম দিকে মৃত্যু হয় সেই গর্ভস্থ সন্তানের। ইউটিউবের অনুষ্ঠানে অমৃতা বলেন, ‘‘এখনও মনে পড়লে বুকটা ভেঙে যায়... তবু সন্তান চাওয়া বাবা-মাদের বলব, ভেঙে পড়বেন না। কারণ বিষয়টা আমাদের হাতে থাকে না।’’
গর্ভধারণ নিয়ে নানা ভয়-অস্বস্তি ছিল অমৃতার। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শারীরিক যে সমস্ত বদল ঘটবে, তার মোকাবিলা করবেন কী ভাবে, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল অভিনেত্রীর। মানসিক উদ্বেগে ঘুমোতে পারেননি রাতের পর রাত। সে কথাও অনুষ্ঠানের আগের এক পর্বে জানিয়েছিলেন অমৃতা নিজেই। তার পরেই তাঁরা এক এক করে আইইউআই, আইভিএফ, সারোগেসির মতো পথে হাঁটেন। হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ওষুধেও ভরসা করেছিলেন বেশ কিছু দিন।
শেষমেশ তাইল্যান্ডের বালিতে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হন অমৃতা। ২০২০-র নভেম্বরে তাঁদের ছেলে বীরের জন্ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy