‘লাওয়ারিশ’ ছবির শ্যুটের সময় অমিতাভ একজন ইরানি নৃত্যশিল্পীর প্রেমে পড়েন। তত দিনে তিনি জয়াকে বিয়ে করেছেন এবং রেখার সঙ্গেও তাঁর প্রেম চলছে। এর মধ্যে আবার প্রেম? এই খবর তখন বলিউডের সকলের মুখে মুখে। রেখার কানেও তা পৌঁছয়। রেখা রেগে গিয়ে সরাসরি অমিতাভের কাছে এই প্রেম নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন।
অমিতাভ-রেখা
অমিতাভ-রেখা। রুপোলি পর্দার প্রেম ছাড়িয়ে তাঁদের আবেদন চিরকালের।
‘দো আনজানে’ (১৯৭৬) দিয়ে তাঁদের সেলুলয়েডের রসায়ন শুরু, আর ‘সিলসিলা’ (১৯৮২) দিয়ে শেষ। অভিনয়ের চেয়ে অনেকাংশেই চর্চিত এই জুটির গভীর-গোপন প্রেম ।
কিন্তু ‘সিলসিলা’র পরে আর কোনও ছবিতেই একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। কী এমন ঘটেছিল যে, এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটে গেল এক ঝটকায়? অমিতাভ অবশ্য চিরকালই নীরব থেকেছেন এই ব্যাপারে। তবে রেখা মুখ খুলেছেন। ইয়াসের উসমানের লেখা ‘রেখা: দি আনটোল্ড স্টোরি’ গ্রন্থে তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎ এক দিন অমিতাভের কাছ থেকে বার্তা আসে, আর নয়। আর কোনও ছবিতেই তিনি ও রেখা কাজ করবেন না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন অবশ্যই করেছিলেন রেখা। কিন্তু অমিতাভের উত্তর ছিল, ‘না’। এ বিষয়ে আর কোনও শব্দ তিনি উচ্চারণ করবেন না।কিন্তু অমিতাভ-রেখার প্রেমের মাঝেই ঘটেছিল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। রেখা নিজেই তা প্রকাশ করেছেন। ‘লাওয়ারিশ’ ছবির শ্যুটের সময় অমিতাভ একজন ইরানি নৃত্যশিল্পীর প্রেমে পড়েন। তত দিনে তিনি জয়াকে বিয়ে করেছেন এবং রেখার সঙ্গেও তাঁর প্রেম চলছে। এর মধ্যে আবার প্রেম?
এই খবর তখন বলিউডের সকলের মুখে মুখে। রেখার কানেও তা পৌঁছয়। রেখা রেগে গিয়ে সরাসরি অমিতাভের কাছে এই প্রেম নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। বেশ কিছু ক্ষণ উভয়ের মধ্যে ঝগড়া চলার পরে থাকতে না পেরে বেশ রেগে গিয়েই অমিতাভ রেখাকে সপাটে চড় মারেন। এক বার নয়। বেশ কয়েক বার। তাও আবার সেই নৃত্যশিল্পীর জন্য।
স্তব্ধ হয়ে যান রেখা। সিদ্ধান্ত নেন শুধু ওই ছবিতেই নয়। অমিতাভের সঙ্গে আর কোনও দিনই তিনি ছবি করবেন না। পরবর্তী কালে অবশ্য যশ চোপড়ার অনুরোধেই রেখা ‘সিলসিলা’ ছবিতে কাজ করতে রাজি হন। কিন্তু ওই চড়ের কথা রেখা কোনও দিন ভোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy