‘ডন’ ছবিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন অমিতাভ। —ফাইল চিত্র।
‘ডন’-এর জন্মদিন তাঁর কাছে বরাবর জীবনের অন্য একটা মানে নিয়ে আসে। প্রত্যেক বারের মতো এ বারেও টুইট করে ‘ডন’-এর সাফল্যকে স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে উপভোগ করলেন অমিতাভ বচ্চন।
টুইটে ‘ডন’ ছবির বিয়াল্লিশ বছর পূর্তি উদযাপন করেন অমিতাভ বচ্চন। এই ছবি তাঁর ঝুলিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার এনে দেয়। অমিতাভ টুইটে লেখেন, ওই আসরেই নূতন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। নূতনের ছবিও শেয়ার করেন অভিনেতা। নেটাগরিকদের অভিনন্দনে ভেসে যায় টুইটার।
শুধু অমিতাভের কেরিয়ারেই নয়, ইন্ডাস্ট্রির ঘরেও বড়সড় লাভের মুখ দেখেছিল ‘ডন’ ছবিটি। মুক্তির দিন বক্স অফিসে হইচই পড়ে যায়। সেই সময় মাত্র সত্তর লাখ টাকা বাজেটের ছবিটি সাত কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। সে ছবি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে অনুপ্রাণিত হয়ে ২৮ বছর পর ফারহান আখতার সেই ছবির ‘রিমেক’ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও মূল ছবিটির জৌলুস হারিয়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: বিদেশি সিরিজ়ের মতো ভারতীয় ওয়েব কনটেন্টও আঁধারে ঘেরা
‘ডন’ মুক্তির ৪২ বছরে পিছনে ফিরে যান অমিতাভ বচ্চন, যিনি এই ছবির নায়ক, তা-ও আবার দ্বৈত ভূমিকায়। ডন মুক্তির পর থেকে ‘ডন’ হিসেবেই অমিতাভকে ইন্ডাস্ট্রিতে চিহ্নিত করা হতে থাকে। ডনের ব্যাপারে আজ নয়, বরাবর তিনি আবেগপ্রবণ। গত বছর যেমন এই মেগাস্টার টুইটে বলেছিলেন ‘ডন’ নিয়ে নানা গল্প। তাঁর কথায়: “বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষই ‘ডন’ নামটিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁরা বুঝতেই পারছিলেন না আসলে ‘ডন’ শব্দটির কী অর্থ। এটা কোনও হিন্দি সিনেমার নাম হতে পারে এমনটা তাঁরা ভাবতে পারেননি। সত্যি কথা বলতে কি… অনেকের কাছে এই নামটি মজার লেগেছিল।”
এই ছবিগুলোই টুইট করেছেন অমিতাভ বচ্চন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
সে সময়ে পুরুষদের একটি অন্তর্বাসের ব্র্যান্ডের নাম ছিল ডন (DAWN)। অমিতাভ বলেছিলেন, “ওদের ব্র্যান্ড ছিল ডন (DAWN)। ‘ডন’ (DON) শব্দটিও বাজার চলতি ওই ব্র্যান্ডের মতো শুনতে লাগে। অন্তর্বাসের ব্র্যান্ডের মতো শুনতে লাগে এমন একটি নামে সিনেমা নিয়ে মানুষের বিস্তর আপত্তি ছিল।”
তবে তিনি বলছেন, হলিউড ক্লাসিক ‘গডফাদার’-এর অনুকূলে কিন্তু ‘ডন’ শব্দটি ‘সম্মান’ পেতে থাকে। এই ছবিতে অমিতাভের পারিশ্রমিক ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। পরিচালক চন্দ্রা বারোটের এটি পাঁচ নম্বর ছবি। এর আগের চারটি ছবিই হিট। কিন্তু ডনের পরে তিনি ১৯৯১ সালে আর মাত্র একটিই ছবি পরিচালনা করেন, সেটি তেমন চলেনি। অন্য দিকে ‘ডন’–এর চূড়ান্ত সাফল্যের পর প্রযোজক নরিম্যান ইরানি আর কোনও সিনেমা প্রযোজনা করেননি। আসলে প্রযোজক-পরিচালকদের ছবি নয়, ‘ডন’ হয়ে গিয়েছে অমিতাভের ‘ক্লাসিক ব্লকব্লাস্টার’। ১৯৮০ সালে ‘ডন’-এর তামিল রিমেক হয়েছিল, ‘বিল্লা’।
আরও পড়ুন: ঋষি কপূরের প্রার্থনাসভায় রণবীরের পাশে আলিয়া
ডন’ (১৯৭৮) ছবির জনপ্রিয় গান ‘খাইকে পান বানারাসওয়ালা’ নিয়েও মজার গল্প আছে। এই গান তৈরি হয়েছিল দেব আনন্দের বেনারসিবাবুর জন্য। ‘ডন-এর পুরো কাজ শেষের পর অভিনেতা মনোজ কুমারের পরামর্শে এটি বিরতির পর যুক্ত করা হয়।গানটির রেকর্ডিংয়ে গায়ক কিশোর কুমার সত্যি সত্যি পান চিবিয়েছিলেন!
T 3528 - 42 years of DON .. goodness ! some memories ..
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) May 11, 2020
winning Best Actor Filmfare with Nutan ji ..producer Nariman Irani , Chandra Barot , director .. Jaya & me at Filmfare award ceremony .. we lost Nariman Irani before the film could release .. I dedicated award to his wife pic.twitter.com/vueBAii7CL
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy