(বাঁ দিকে) অমিশা। সঞ্জয় দত্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অমিশা পটেল বলিউডে তাঁর আত্মপ্রকাশ ২০০০ সালে। ‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে। প্রথম ছবিতেই হিট তিনি। তার পরের বছর মুক্তি পায় তাঁর ‘গদর ২’ ছবি। সেটিও তুমুল সাফল্য লাভ করে। ২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’। অমিশা জুটি বাঁধেন সলমন খানের সঙ্গে। এত বড় তারকার সঙ্গে প্রথম ছবি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। তবু সলমনের সঙ্গে ভীষণই ঘনিষ্ঠ তিনি। সলমনের সঙ্গে দেখা হলে বরাবরই তাঁকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ আলিঙ্গন করতে দেখা যায় অভিনেত্রী। সলমনও ফিরিয়ে দেন একই সৌজন্য। অনেকটা লম্বা পথ পেরিয়ে এসেছেন অমিশা। এক সময় পরিচালক বিক্রম ভট্টের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও ৫০ ছুঁইছুঁই বয়সে ‘সিঙ্গল’ অভিনেত্রী। তবে এক সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। একে অপরের কাছের বন্ধু ছিলেন তাঁরা। তবু মনোমালিন্যের কারণে ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। অমিশার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সঞ্জয়। তবে সে আর হয়ে ওঠেনি।
বলিউড তারকাদের মধ্যে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ঠিক যেন সিনেমার গল্পের মতো। এক সময় একে অপরের প্রাণের বন্ধু। আবার অন্য সময়ই একে অপরের মধ্যে চরম অশান্তি। এমনই এক তারকা জুটির বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে এক দশক আগে। এখনও তাঁরা একে অপরকে এড়িয়ে চলেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরে ২০১২ সালের দিকে গোয়ার এক অনুষ্ঠানে। তার পর থেকে অমিশাকে দুটি ছবি থেকে বাদও দেন সঞ্জু বাবা। পরে মিটমাটের চেষ্টা করেন অমিশা, তবে বরফ গলেনি। এ বার এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয়ের প্রশংসা পঞ্চমুখ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সঞ্জয় আমার পরিবারের মতো। খুব কাছের। আমার বিষয়ে ভীষণ স্পর্শকাতর। আমাকে সব সময় বলত এই জায়গা আমার জন্য নয়। আমার সারল্য নিয়ে চিন্তিত থাকত। আমাক বরাবরই ছোট ভাবত। খালি বলত তোর আমি বিয়ে দেব। তবে ২০ বছর কেটে গিয়েছে একটা ছেলে খুঁজে পায়নি। ও বলেছিল আমার কন্যাদান করবে।’’ তবে মুখে এখন যা-ই বলুন না কেন, সঞ্জয়ের তাঁর প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল মানসিকতা এবং অধিকারবোধই অমিশার সঙ্গে ঝামেলার কারণ।
শোনা যায় ২০১২ সালে, পরিচালক ডেভিড ধওয়ানের ছেলে রোহিত ধওয়ানের সঙ্গীতে গিয়েছিলেন অমিশা। স্ত্রী মান্যতাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়ও। খোলামেলা লেহঙ্গায় অমিশার শরীরের অনেকখানিই জনসমক্ষে। ব্যাপারটা মোটেই ভাল লাগেনি ‘সঞ্জুবাবা’র। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর নায়িকাকে প্রথমে নিজেই গিয়ে বলেন একটু ঢাকাচাপা দিতে। তার পরে নিজে হাতেই ওড়না টেনে জড়িয়ে দেন অভিনেত্রীর গায়ে। তাতেই ক্ষুব্ধ হন অভিনেত্রী। চটে লাল হয়ে চিৎকার করা শুরু করেন । তার পর থেকে যে চিড় ধরে সঞ্জয়-অমিশার সম্পর্কে, তা আর মেরামত করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy