(বাঁ দিকে) হৃতিক রোশন। করিনা কপূর খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কপূর পরিবারের সন্তান তিনি। অভিনয় তাঁর রক্তে। বড় হয়ে যে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নেবেন করিনা কপূর খান, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না। ২০০০ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন করিনা। একই বছর বলিউডে পা রাখেন বিগ বি-পুত্র অভিষেক বচ্চনও। ‘রিফিউজি’ ছবিতে জুটি হিসাবে অভিষেক হয়েছিল দুই তারকা-সন্তানের। ওই বছরই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন আরও এক তারকা-সন্তান, রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক রোশন। ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় তাঁর। প্রাথমিক ভাবে এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রাখার কথা ছিল করিনার। ছবিতে অভিনেত্রী হিসাবে চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শুটিং শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে কাজ হারান করিনা। কেন?
২০০০ সালে ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবিতে হৃতিকের বিপরীতে অভিষেক হয়েছিল অভিনেত্রী অমিশা পটেলের। তারকা-সন্তান নন, সাধারণ পরিবার থেকে বিনোদনের দুনিয়ার এসেছিলেন অমিশা। ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবিতে নিজের ছেলে হৃতিকের বিপরীতে সেই অমিশাকেই পছন্দ করেছিলেন রাকেশ। কিন্তু সেই ছবিতেই আগে অভিনয় করার কথা ছিল করিনার। শুটিংয়ের মাত্র তিন দিন করিনাকে রীতিমতো সেট থেকে তাড়িয়েই দেন রাকেশ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অমিশা বলেন, ‘‘করিনা নিজে ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবি থেকে সরে যাননি। রাকেশ আমাকে জানিয়েছিলেন, সৃজনশীল মতপার্থক্যের কারণে করিনাকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র তিন দিনের মাথায় আমাকে ‘সোনিয়া’ চরিত্রে চূড়ান্ত করেছিলেন তিনি।’’ অমিশা জানান, এক বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে নাকি অমিশাকে প্রথম বার দেখেছিলেন রাকেশ। প্রথম দেখাতেই ‘সোনিয়া’ হিসাবে অমিশাকে মনে ধরেছিল রাকেশের। শুটিং শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে নাকি ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন অমিশা, জানান অভিনেত্রী।
শোনা যায়, করিনার প্রথম ছবি সংক্রান্ত বিষয়ে নাকি একটু বেশিই নাক গলিয়েছিলেন তাঁর মা ববিতা কপূর। রাকেশের সঙ্গে ববিতার বনিবনা না হওয়ার কারণেই নাকি ছবি থেকে বাদ পড়েন করিনা। পরে অবশ্য ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘মুঝসে দোস্তি করোগে!’, ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ’-র মতো ছবিতে হৃতিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন করিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy