অম্বরিশ ভট্টাচার্য
প্রথম চুমু স্কুলের বাইরে! সে কথা মনে পড়লে আজও রোমাঞ্চ হয় অভিনেতা অম্বরিশ ভট্টাচার্যের। প্রেমিকা তখন স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিলেন। বয়সে বড় মহিলার সঙ্গে প্রেম করাটা তাই বেশ দুঃসাহসিক ছিল তাঁর কাছে। তার উপর স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম চুমু! ক্যালকাটা বয়েজ-এ পড়তেন অম্বরিশ। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে সেই চুমু তাঁর। তখনকার প্রেমিকার কাছ থেকেই চুমু খাওয়া শেখা। প্রেম করা শেখা। আরও যা যা দরকার, সব শিখিয়েছিলেন সেই প্রেমিকাই।
এখনকার কোন নায়িকাকে চুমু খেতে চান? এই প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই দিতে চাইলেন না অম্বরিশ। তাঁর যুক্তি, ‘‘এখন এক জনের নাম করলাম। কিন্তু পরবর্তী কালে সুযোগ এল আর এক জনের সঙ্গে। তখন যদি সে রেগে যায়! না না বাবা, ও সবের মধ্যে আমি নেই।’’
আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে চুম্বন দিবসে তাঁকে চুমুর অভিজ্ঞতার কথা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, ‘‘আমার এ সব বলতে কোনও লজ্জা নেই। বিয়ে করিনি তো, তাই প্রেমিকাদের সঙ্গে চুমু খাওয়ার গল্প বলে দিলে বাড়িতে কেউ ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না। তাই শান্তি।’’
বিয়ে কেন করতে চান না অম্বরিশ?
অভিনেতার কথায়, তিনি কোনও ‘ঝামেলা ঝঞ্ঝাট’ পোহাতে চান না। এই তো বেশ রয়েছেন। যখন সেটে কেউ তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কান্নাকাটি করেন, তখন তিনি নাকি চেয়ারে বসে বেশ আনন্দের সঙ্গে পা দোলান 'পটকা'। তাই ওই পর্বটা আপাতত জীবন থেকে বাদই দিয়ে রেখেছেন। তবে প্রেম করা, আদর করা থেকে বঞ্চিত থাকতে চান না তিনি। তাই টলিউড ও বলিউডের নায়িকাদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। তাঁর স্বপ্নের নারী প্রয়াত অভিনেত্রী মধুবালা। তাঁর মতে, ওই উচ্চতায় পৌঁছনোর ক্ষমতা এ দুনিয়ায় আর কারও নেই। কিন্তু যদি কেউ অম্বরিশকে চুমু খেতে চান, তাঁকে অবশ্যই মধুবালার কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করতে হবে। একে ‘চুমুর স্বয়ম্বর সভা’ নাম দিতেও আপত্তি নেই বলেই জানালেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy