আলিয়া এবং সুনীল
একরত্তি আলিয়া ভট্ট কচি কচি হাত বাড়িয়ে দিতেন তাঁর দিকে। সেই হাত শক্ত করে ধরে গাড়িতে তুলে ৫ বছরের মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন সুনীল তালেকর। না, বলিউডের কোনও জনপ্রিয় তারকা নন। তবে তিনিও কম বড় তারকা নন। আলিয়াকে নিজের মেয়ের মতো কোলেপিঠে বড় করেছেন। ভট্ট পরিবারের গাড়িচালক তথা আলিয়ার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। সুনীল এখন ভট্ট পরিবারেরই এক জন।
১৪ এপ্রিল, বিয়ের দিনে আলিয়াকে কনের সাজে দেখে চোখের জলে ভেসেছেন সুনীলও। সেই ছোট্ট মেয়েটার যে বিয়ে হয়ে গেল! কোন বাবাই না এতে আপ্লুত না হয়ে পারেন! রণবীর কপূরের পাশে আলিয়াকে দেখে বলেছেন, ‘‘আহা কেমন মানিয়েছে! কী সুন্দর দেখাচ্ছে তোমায় আলিয়া।’’ উত্তরে যুবতী আলিয়া হেসে বলেন ‘‘ধন্যবাদ, সুনীল।’’
একটি সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন আলিয়ার দেহরক্ষী। বলেছেন, ‘‘নিজের মেয়ের মতো চোখের সামনে বড় হল আলিয়া। স্কুলে নিয়ে যেতাম আমিই। আমারই দায়িত্বে ওকে নিশ্চিন্তে ছেড়েছিল পরিবার। মনে পড়ে প্রথম দিনের শ্যুট, আলিয়া অডিশন দিতে যাবে... সে দিনও আমি সঙ্গে ছিলাম। আর় আজ দেখতে দেখতে সেই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল!’’ সুনীল স্মৃতি হাতড়ে কূল পান না! বুঝতে পারেন না আলিয়া কবে এত বড় হয়ে গেল।
সুনীলের অভিব্যক্তিতে কোথাও যেন ফিরে আসেন রবীন্দ্রনাথের ‘কাবুলিওয়ালা’ রহমত। ফিরে আসে মিনি। তবে সেখানে রহমত বলতেন, ‘‘খোঁখী, তোমি সসুরবাড়ি কখুনু যাবে না!’’ তেমনটা কিন্তু এক বারও বলেননি সুনীল। মেয়ে আলিয়া তাঁর স্বপ্নের মানুষের সঙ্গে সুখে শান্তিতে ঘর করুক— এখন এই তার একমাত্র সাধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy