বলিপাড়ার নামজাদা ভট্ট পরিবারের সন্তান আলিয়া ভট্ট। বাবা মহেশ ভট্ট বলিউডের সুপরিচিত ছবিনির্মাতা। মা সোনি রাজ়দান পরিচিত অভিনেত্রী হিসাবে। অভিনেত্রী হিসাবে দিদি পূজা ভট্টের খ্যাতিও কম নয়। পরিবারের ধারা বজায় রেখে আলিয়া ভট্ট নিজেও অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। প্রায় এক দশক আগে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। তার পরে নিজের মেধা, প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দর্শকের মনে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন আলিয়া। বলিউড পেরিয়ে হলিউডেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। ফিল্মি পরিবারে বড় হওয়ার দরুণ স্বজনপোষণ নিয়ে বলিপাড়ায় কম কথা শুনতে হয়নি আলিয়াকে? আদপে কেমন ছিল তাঁর শৈশব?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা মহেশের জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ের বিষয়ে কথা বলেন আলিয়া। আলিয়া জানান, এক সময়ে একের পর এক ছবি ফ্লপ হওয়ার কারণে নেশার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। আলিয়া বলেন, ‘‘সবাই ভাবেন আমি খুব সচ্ছল পরিবারে বড় হয়েছি। কিন্তু এক সময় বাবার হাতে কোনও টাকাপয়সা ছিল না। বাবার একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ধাক্কা খাচ্ছিল। তখন বাবাকে মদের নেশা পেয়ে বসেছিল। যদিও তিনি নিজেই তার পরে সেই নেশা কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। তার পরে বাবা, মা দু’জনকেই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, যাতে আমি আর আমার বোন আরামদায়ক একটা জীবন পেতে পারি।’’ আলিয়ার মতে, স্বজনপোষণ সংক্রান্ত তিক্ত তর্কের দিকে নজর না দিলেও মা-বাবার কারণে যে সুবিধা তিনি পেয়েছেন, তা কখনও ভোলেন না তিনি।

শুধু বাবা নন, মা সোনিকেও কম লড়াই করতে হয়নি। জন্মসূত্রে ব্রিটিশ তিনি, ভাল হিন্দি বলতে পারতেন না। থিয়েটারের মঞ্চে নিজের জায়গা তৈরি করার পরেও টেলিভিশন ও ছবির সেটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অডিশনের লাইনেও নাকি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সোনিকে, জানান আলিয়া। এখন বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী তিনি, ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ ছবির জন্য সম্প্রতি অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কারও। ওই ছবির পরে আরও এক বার পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সঙ্গে জুটি বাঁধার কানাঘুষো আলিয়ার। দিন কয়েক আগে ভন্সালীর অফিসের বাইরে দেখাও গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।