(বাঁ দিকে) কর্ণ জোহর, আলিয়া ভট্ট(ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবির শুটিং চলাকালীন ছবির অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের জীবনেও নানা ঘটনা ঘটেছে। ছবিটি যখন শুরু করেন, তখন আলিয়া অবিবাহিত ছিলেন। যখন ‘কুড়মাই’ গানের শুটিং করছেন, তখন তিনি নববধূ। যখন ‘তুম ক্যায়া মিলে’ গানের শুটিং চলছে কাশ্মীরে, তখন আলিয়া রাহার মা। এই ছবিটি তাই আলিয়ার জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি বক্স অফিস ১০০ কোটির ব্যবসা করার পর আলিয়া ভীষণ ভাবে আনন্দিত। কিন্তু খুশির সময়ও একটি গোলমাল বাধল! এ বার ঝামেলা আলিয়ার হাতের মেহেন্দি নিয়ে।
এই ছবির এন্ড ক্রেডিটে যে গানটি চলে সেই গানের সম্পূর্ণ ভিডিয়ো সদ্য প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। এই ‘কুড়মাই’ গানে রকি আর রানির বিয়ের দৃশ্য দেখানো হয় ছবির শেষে। বাস্তবে রণবীর কপূরের সঙ্গে বিয়ের ঠিক চার দিনের মাথায় এই গানের শুট করেন আলিয়া। শোনা গিয়েছিল, আলিয়ার বিয়ের মেহেন্দিই এই গানের শুটে দেখা গিয়েছে। এ বার সেই মেহেন্দি নিয়েই জলঘোলা। পরিচালক কর্ণ জোহরের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বলিউডের খ্যাতনামী মেহেন্দি শিল্পী বীণা নাগদা।
বলিউডের অন্দরে তাঁর বিরাট নামডাক। শ্রীদেবী হোক কিংবা ঐশ্বর্যা রাই— বলিউডের নায়িকাদের বিয়ে, করবা চৌথ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের মেহন্দি পরিয়ে দেন বীণাই। সেই ধারা বজায় রেখে আলিয়া ভট্টের বিয়ের মেহন্দিও পড়ান তিনিই। খুব বেশি নকশা মোটেও পছন্দ নয় আলিয়ার। সে কারণেই হালকা ডিজ়াইনের মেহন্দি অভিনেত্রীকে পরান বীণাদেবী। সম্প্রতি পরিচালক এবং অভিনেত্রী ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’র এক সাংবাদিক সম্মলেন ‘কুড়মাই’ গানের নেপথ্যকাহিনি শোনান। জানান, অভিনেত্রীর বিয়ের চার দিনের মাথায় এই গানের শুটিং থাকায় বিয়ের মেহেন্দি পরেই শুটিং করেন আলিয়া। এই মন্তব্যেই চটেছেন বীণা। তিনি জানান, আলিয়ার বিয়ের মেহন্দি আর সিনেমায় পরা মেহন্দির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। একে তো দুটোর নকশাই আলাদা। তা ছাড়া বিয়েতে আলিয়ার সাজ যেমন হালকা ছিল, তেমনই মানানসই ছিল মেহন্দির কলকা। তবে সিনেমায় আলিয়ার হাতে ভারী কারুকার্য করা মেহন্দি দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে আলিয়া কব্জির কাছে গোটাটাই মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল গানের শুটিংয়ের আগে। তাতে অবশ্যই আলাদা করে পরিশ্রম করেছিলেন বীণা। মেহন্দিশিল্পী নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় কর্ণের নাম উল্লেখ না করেই উপদেশ দিয়েছেন কথা বলার আগে ভেবেচিন্তে বলার।
বীণা লেখেন, ‘‘আলিয়ার বিয়ের মেহন্দি ও ছবির মেহেন্দির মধ্যে কোনও মিলই নেই। বিয়েতে আলিয়ার কব্জি কিংবা আঙ্গুলে কোনও নকশা ছিল না, যা সিনেমায় একেবারেই স্পষ্ট। তাই কথা বলার আগে ভেবেচিন্তে বলুন। ছবির জন্য সেটে বসেই মেহন্দি পরানো হয় আলিয়াকে। তাই দুই নকশা সম্পূর্ণ আলাদা।’’ তাঁর পোস্ট থেকে আভাস পাওয়া যায়, পরিশ্রম করার পরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি বলেই সম্ভবত আহত হয়েছেন বীণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy