আল পাচিনো। ছবি: রয়টার্স।
গত বছর অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তেমন কোনও বিতর্ক জন্ম নেয়নি। তবে তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে অস্কারের মঞ্চে চড়-কাণ্ড নিয়ে এখনও আলোচনা হয়। স্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সঞ্চালক ক্রিস রককে অস্কার মঞ্চে চড় মেরেছিলেন অভিনেতা উইল স্মিথ। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও অনুরাগীদের মনে টাটকা। সেই সময়, ৮টি বিভাগের পুরস্কার বিতরণ প্রক্রিয়াকে মূল পর্ব থেকে বাদ দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে এ বার অস্কারের মঞ্চে মূল চমক ছিল ‘ডব্লিউডব্লিউই’খ্যাত জন সিনার উপস্থিতি। অনাবৃত শরীরে তিনি সেরা পোশাকশিল্পীর নাম ঘোষণা করলেন। একই মঞ্চে বিতর্ক তৈরি করলেন হলিউড অভিনেতা আল পাচিনোও। সেরা ছবির পুরস্কার ঘোষণার দায়িত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু মঞ্চে উঠেই এক বড় ভুল করে বসলেন ‘গডফাদার’। সেরা ছবির মনোনয়নগুলি না বলেই সোজা বিজয়ী ছবি ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’-এর নাম ঘোষণা করে দেন। যা একেবারেই অস্কারের নিয়মবিরুদ্ধ। হলিউডের এক বর্ষীয়ান অভিনেতার কাছ থেকে এমন কাজ অপ্রত্যাশিত। তা নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
আল পাচিনোর অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা কয়েক দশকের। অভিনেতার নিজের ঝুলিতেই অস্কার রয়েছে। ‘সেন্ট অফ আ ওম্যান’-এ অভিনয়ের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা অভিনেতা হিসাবে ন’বার মনোনয়ন পেয়েছেন। অস্কার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে প্রথমে মনোনয়নগুলি পড়া হয়। তার পর বিজয়ীর নাম উচ্চারণ করা হয়। এত বছর ধরে এই নিয়মই চলে এসেছে। কিন্তু এ বছর আল পাচিনো সেই নিয়ম বদলে দিলেন। মঞ্চে উঠেই নাম সেরা ছবি হিসাবে নাম ঘোষণা করে দিলেন ‘ওপেনহাইমার’-এর। হঠাৎ কেন এমন করলেন তিনি, এই ঘটনার এক দিন পর একটি বিবৃতিতে তা জানিয়েছেন অভিনেতা।
তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মনোনয়নগুলি বাদ দিতে চাইনি। কিন্তু অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের তরফে আমাকে বলা হয়েছিল, নতুন করে আর মনোনয়ন না পড়তে। তার কারণ গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে বেশ কয়েক বার নমিনেশনগুলি দেখানো হয়েছিল। তাই আমি আর বাড়তি সময় নষ্ট না করে সরাসরি বিজয়ী ছবির নাম ঘোষণা করেছি। তবে আমার এই কাজের জন্য কেউ যদি অপমানিত হয়ে থাকেন, তা হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy