স্বস্তিকা দত্ত
ছেঁড়া জিন্সের শার্ট। মাঝে একটি বোতাম আটকানো। উন্মুক্ত শার্টের ভেতর দিয়ে প্রকাশ্যে কালো অন্তর্বাস। ততধিক স্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা। মাথার উপর দিয়ে ছড়িয়ে স্পট লাইটের আলো। বহু দিন পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ভাবেই সাহসী স্বস্তিকা দত্ত! তার খোলামেলা সৌন্দর্য মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ফেসবুকের পারদ চড়িয়ে দিয়েছে হুড়মুড়িয়ে। যাঁরা ছবির সৌন্দর্য বোঝেন, তাঁরা প্রশংসা করেছেন অভিনেত্রীর। রক্ষণশীলদের চোখে যথারীতি বিঁধেছে এই ছবি। এবং নায়িকা কটাক্ষের শিকার।
‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের ‘রাধিকা’ আপাতত ছোট পর্দা থেকে দূরে। একাধিক সিরিজে নানা ধরনের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তালিকায় ‘আনন্দ আশ্রম’, ‘নগর বাউল’, ‘উত্তরণ’। যেহেতু তিনি নিয়মিত দেখা দিচ্ছেন না, তাই কিছু জনের ধারণা, 'কাজ নেই। প্রচারও নেই তাঁর। সে কারণেই খোলামেলা হয়ে হাজির হচ্ছেন সস্তার প্রচার কুড়োতে!' কেউ কেউ স্পষ্ট ভাষায় তাঁকে জানিয়েছেন, এমনিই তো যথেষ্ট সুন্দর। এই সব ছবি না দিলেও হয়। কারও দাবি- 'ভদ্র পোশাক নেই? কোথায় কী পোশাক পরতে হয় সেই জ্ঞানটুকুও বোধহয় স্বস্তিকা খুইয়েছেন!'
এত দিন নীরবে সব হজম করতেন তিনি। ইদানীং স্বস্তিকা বেশ বুঝেছেন, কিছু সময়ে মুখ না খুললে অকারণ কটাক্ষের বন্যায় তাঁকেই ডুবতে হবে। তাই বেশ কিছু কটাক্ষকারীকে তিনি জবাবও দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘কোথায় বিকিনি বা সাঁতারের পোশাক পরতে হয় আর কোথায় ঢাকাই জামদানি, এটা ভাল বুঝি বলেই নিয়মিত কাজ করে চলেছি।’ তার পরেও কিন্তু রেহাই পাননি। কেউ লিখেছেন, অভিনেত্রী নাকি ‘বাংলার সেরা মুখ’-এর সম্মান পেয়েছেন! তবু বক্ষভাঁজ দেখিয়ে সৌন্দর্য প্রমাণ করতে হচ্ছে।'
তারকাদের কি ইদানীং নিজেদের ইচ্ছেমতো কিছুই করার উপায় নেই? কিছু বললে বা করলেই তুমুল কটাক্ষ?
অভিনেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। স্বস্তিকার কথায়, ‘‘এখনকার দর্শক যথেষ্ট বুদ্ধিমান। এক জন অভিনেত্রী পর্দায় আর ব্যক্তিগত জীবনে আলাদা। চরিত্র হয়ে উঠতে তাঁরা অনেক পোশাক পরেন। সেটা তাঁরা ব্যক্তিগত সময়ে সব ক্ষেত্রে না-ও পরতে পারেন। তার মানেই আমরা খারাপ?’’ অভিনেত্রীর যুক্তি, হাত-পায়ের মতোই বক্ষভাঁজও যে কোনও মেয়ের শরীরের অংশ। একুশ শতকেও সেই অঙ্গ প্রকাশ্যে এলে এত সমালোচিত হতে হবে! ছোট-বড় পর্দা, সিরিজের জনপ্রিয় নায়িকার দাবি, বলিউডের একাধিক নায়িকা তাঁর থেকেও বেশি খোলামেলা ছবি নিয়মিত দিচ্ছেন। সম্প্রতি, জাতীয় স্তরের একটি পত্রিকার মলাটে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিও যথেষ্ট উষ্ণ। কিন্তু সরাসরি বক্ষভাঁজ দেখা যায়নি। তাই তাকে ঘিরে সমালোচনাও নেই।
স্বস্তিকার দাবি, এই ধরনের সমালোচনা তিনি আর পাত্তা দেন না। বুঝে গিয়েছেন, ভাল-র পাশাপাশি মন্দ কথাও থাকবে। তাঁকে এড়িয়ে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy