‘কাছের মানুষ’-এর শ্যুট শেষ হতেই উদযাপনে মেতেছিলেন গোটা দল।
কখনও হেদুয়া। কখনও স্কটিশ চার্চ কলেজ। কিংবা বাগবাজার, শ্যামবাজারের অলিগলি। টিম ‘কাছের মানুষ’ ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা এ ভাবেই চষে ফেলেছে উত্তর কলকাতার বড় অংশ। এবং এ ভাবেই মাত্র ১৬ দিনে শেষ হয়েছে ছবির শ্যুট। আপাতত ছবিটি সম্পাদনার টেবিলে। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক পথীকৃৎ বসু বলেছেন, ‘’সম্প্রতি শেষ হল শ্যুট। ইদানীং অতিমারির বিধিনিষেধ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এখন বাংলা ছবির শ্যুটিং ১২-১৪ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’
শ্যুট শেষ হতেই উদযাপনে মেতেছিলেন গোটা দল। ছবির প্রথম মোশন পোস্টারের আদলে তৈরি কেক। মুখোমুখি বসে দেব এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালকের কথায়, দেব ওরফে ‘কুন্তল’কে ঘিরেই আবর্তিত কাহিনি। দেব এবং বুম্বাদা সমান গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে। দলের সমস্ত কলাকুশলীকে নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কেক কাটেন দুই প্রজন্মের দুই তারকা। পোস্টারের মতো কেকেও রেললাইন। অথচ শ্যুট খাস উত্তর কলকাতায়। দুই তারকার সমান্তরাল উপস্থিতি বোঝাতেই কি রেললাইন প্রতীক? ভাঙতে রাজি নন পথীকৃৎ। তা হলে গল্প প্রকাশ্যে চলে আসবে, দাবি তাঁর।
১৬ দিনের মধ্যে প্রায় প্রতি দিনই ক্যামেরা ভাগ করে নিয়েছেন বুম্বাদা-দেব। তাঁদের সামলাতে গিয়ে শীতেও কপালে ঘাম দেখা দিয়েছিল? ‘‘ওঁরা এতটাই সহযোগিতা করেছেন যে, এই প্রথম আমি চাপমুক্ত হয়ে কাজ করেছি। একটা সময়ে আমার গায়ে বাণিজ্যিক ধারার পরিচালকের তকমা সেঁটে গিয়েছিল। তার পরে অতিমারির দাপট। যদিও মাঝে প্রচুর ছবি বানানোর ডাক পেয়েছিলাম। আমি করিনি। অন্য ভাবে ফিরতে চেয়েছিলাম। দেব এই ছবির পাঁচ লাইনের গল্প শুনে এক কথায় রাজি হয়েছিলেন। একই পথে হেঁটেছিলেন বু্ম্বাদাও। ফলে, ছবিটির উপরে আস্থা ছিলই। দেব নিজে রোজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতেন। খুঁটিনাটি দেখতেন। বুম্বাদা রোজ নতুন নতুন পরামর্শ দিয়ে ছবিটিকে আরও ঝকঝকে করেছেন। ইশা সাহা, তুলিকা বসু, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় আছেন। সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন’’— বক্তব্য পরিচালকের।
শ্যুটের আগে প্রসেনজিৎ এবং দেব ফেসবুকে শ্যুটের ছবি পোস্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুরাগীদের। কথা রেখেছেন তাঁরা? পরিচালক জানান, ভিড় সরাতেই কেটে যেত অর্ধেক বেলা। সবার হাতেই মোবাইল। কে আর অনুরোধ শোনে! ফলে, নেট মাধ্যমে ছবি পোস্ট হয়েইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy