প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
পথ দেখাল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। সেই পথেই নাকি হাঁটতে চলেছে বলিউড। মালয়ালম ছবির দুনিয়া তোলপাড় হেমা কমিটির রিপোর্টে। রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ায় অভিনেত্রীদের হেনস্থার কথা। এমন কয়েকজন খ্যাতনামীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যা মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনাও তৈরি করে দিয়েছে এই রিপোর্ট। খবর, হেমা কমিটির এই সাফল্যই নাকি উৎসাহিত করেছে মহারাষ্ট্র সরকারকেও। যার জেরে বলিউড অভিনেত্রীদের শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচাতে এমনই একটি কমিটি গঠন করতে চলেছে সরকার।
২০১৮ সালে পাশ্চাত্যের ধারা মেনে ‘মিটু’ আন্দোলনের পথে হেঁটেছিল বলিউড। তনুশ্রী দত্ত প্রথম শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন নানা পটেকরের বিরুদ্ধে। সেই পথে হেঁটে তার পর একে একে অভিযুক্তের তালিকায় নাম ওঠে কর্ণ জোহর, সাজিদ খান, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, অনু মালিক-সহ বহু খ্যাতনামীর। পরে সেই আন্দোলন থিতিয়ে এলে পরিস্থিতি যেন খানিক আগের মতোই। উপরমহলের পরিচালক-প্রযোজকেরা সহজেই ছাড় পেয়ে যান। সেই অভিজ্ঞতা ভোলেননি মায়ানগরীর অনেকেই। মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন কমিটি গঠনের খবর পেয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক জানিয়েছেন, আগের আন্দোলন কেবল মাত্র চুনোপুঁটিদের ধরেছে। রাঘব বোয়ালেরা টাকা ঢেলে ছা়ড় পেয়েছে। আশা, এই কমিটি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে তারাও শাস্তি পাবেন।
প্রবীণ অভিনেত্রী আশা পারেখ অবশ্য আশার আলো দেখছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বলিউডের অন্দরেও দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ স্তরের তদন্ত করা উচিত। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা সকলের আগে প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আর বিলম্ব করা উচিত নয় সরকারের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy