আমেরিকান অভিনেত্রী মেটল্যান্ড এভিএন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সাত বার। মূল ধারার ছবি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকা এখন। —ফাইল চিত্র
অ্যাকাডেমি পুরস্কার নিয়ে বিশ্বের সিনেপ্রেমীদের উৎসাহ অন্তহীন। অনেকের কাছেই এটি চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি। অভিনেত্রী মেটল্যান্ড ওয়ার্ড অবশ্য অস্কারকে ততখানি মূল্য দিতে রাজি হলেন না। তাঁর মতে, অ্যাকাডেমি পুরস্কারের তুলনায় পর্ন অ্যাওয়ার্ড অনেক বেশি উচ্চ মানের।
তাঁর দাবি, অস্কার তার গৌরব হারিয়েছে। কেন এমন মনে হয় তাঁর? মেট বলেন, “বিচারকদের বিচারে যে সব ছবি পুরস্কার জেতে, তার অধিকাংশই খুব পুরনো ধাঁচের এবং দীর্ঘকাল দর্শকের সঙ্গে সেই ছবিগুলির কোনও সংযোগ নেই।”
অভিনেত্রী জানান, এই বছরের মনোনয়নেও তিনি বৈচিত্রের অভাব লক্ষ করেছেন। মেটের দাবি, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলা পরিচালকরা রয়েছেন এবং সমাজের নানা ক্ষেত্র থেকেই উঠে আসছেন কলাকুশলী। অভিনেত্রীর মতে, এভিএন অ্যাওয়ার্ড, যা পর্নোগ্রাফিক ছবির জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা রাজনীতির ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলে। অস্কারে এখনও রয়ে গিয়েছে দলবাজির খেলা, যা সঠিক বিচারের পদ্ধতিকে কলুষিত করে।
আমেরিকান অভিনেত্রী মেটল্যান্ড এভিএন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সাত বার। মূল ধারার ছবি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকা এখন। এই বছর তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।
গত বছর অস্কার মঞ্চে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কৌতুকশিল্পী ক্রিস রক। অভিনেতা উইল স্মিথের স্ত্রী সম্পর্কে তাঁর একটি মন্তব্য পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেয়। মঞ্চে এসে ক্রিসকে চড় কষিয়ে দেন উইল। সেই ঘটনার ভয়াবহতা গত এক বছর অ্যাকাডেমি প্রসঙ্গকে থমথমে করে রেখেছিল। এ বছর সতর্কতা অবলম্বন করেই অনুষ্ঠান চলে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবু অতীতের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। যদিও খুশির মুহূর্ত উপহার পেয়েছে ভারত। ১২ মার্চ লস এঞ্জেলেস-এর ডলবি থিয়েটারে রেড কার্পেটে হেঁটেছে ‘আরআরআর’ বাহিনী। দেশের মুকুটে এসেছে দু’টি অস্কার। তাতে কি খুশি নন মেটল্যান্ড? অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের বিচারে কেন ফাঁক দেখছেন তিনি, তা অবশ্য সরাসরি জানালেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy