আরিয়ানের সঙ্গে সুদীপা।
পাতে ধোঁয়া ওঠা গরমাগরম ফুলকো লুচি। পাশে বাটি ভর্তি সাদা আলুর তরকারি। থালায় লুচির সঙ্গে গোল গোল বেগুন ভাজা। এই জলখাবার পেলে ক্যায়াবাত! নিমেষে বাঙালির মুখে হাসি। এমন জলখাবার কি সবার পাতে পড়ে? জানা নেই। তবে এই জলখাবার পেয়ে দারুণ খুশি আদিদেব চট্টোপাধ্যায়।
সুদীপা-অগ্নিদেবের ছোট্ট ছেলে আদি খাদ্যরসিক। পাতে সাজানো এই সব লোভনীয় খাবার দেখে আনন্দে চনমনিয়ে উঠেছে সে। আর ছেলের সেই উচ্ছ্বাস অনুরাগীদের দেখানোর লোভ সামলাতে পারেননি সুদীপাও। সঙ্গে সঙ্গে রিল ভিডিয়ো তৈরি। দিয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে। নেপথ্যে ‘লুচি খাবি আয়’ গানের তালে তালেই যেন লুচিতে মন দিয়েছে আদি। সঙ্গে সুদীপার মন্তব্য, ‘মামাবাড়ি ভারী মজা, কিল চড় নাই…!’
আদিদেব মামাবাড়িতে? আনন্দবাজার অনলাইনকে সুদীপা জানিয়েছেন, ছোট্ট হলে কী হবে! এ বার আদিদেবের কাঁধে বিশাল দায়িত্ব। বাড়ির পুজোয় সবাইকে নিমন্ত্রণ জানাতে সে মামাবাড়ি গিয়েছিল। ‘‘চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় আমার বড় দাদার বিশেষ ভূমিকা। গঙ্গায় এক ডুবে ঘট ভরা, ঘট বিসর্জন, পুজোর ভোগ রান্না- সবেতেই জড়িয়ে থাকেন আদিদেবের বড় মামা। তাই প্রতি বছর আমার বাপেরবাড়ির সবাইকে তত্ত্ব পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ বার অগ্নিদেব সেই দায়িত্ব দিয়েছে আদিকে’’, বললেন সুদীপা। এও জানিয়েছেন, মামা-ভাগ্নে একে অন্যকে চোখে হারায়। তাই আদি নিমন্ত্রণ করতে যেতেই তাকে একেবারে জামাই আদরে আপ্যায়ন জানিয়েছেন তার মামারা।
সুদীপার ফেসবুক বলছে, পুজো যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ছোট্ট আদির খুশি। দিন দুই আগেই বাড়ির প্রতিমা তৈরির ভিডিয়ো দিয়েছিলেন ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী। সেখানেও দেখা গিয়েছিল, মুখে মাস্ক পরে কাজের তদারকিতে ব্যস্ত সঞ্চালিকা-পুত্র। ক্যামেরা সামনে আসতেই উঁকি দিয়েছে দুষ্টু বুদ্ধি। মাস্ক সরিয়ে ভেংচি কেটে হেসে ফেলেছে আদিদেব। ব্যস! আহ্লাদে আটখানা অনুরাগীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy