অ্যালেকের বাবা জাফরশেঠ ছিলেন ধনী শিল্পপতি। একাধিক ব্যবসার মালিক জাফরশেঠের মালিকানায় বাড়িই ছিল ১০টি। তাঁদের পরিবার ছিল যথেষ্ট রক্ষণশীল। ছেলেদের জন্য প্রথম থেকেই ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া শেখানোর ব্যবস্থা করেন জাফরশেঠ। মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করা অ্যালেক পরবর্তী কালে পারিবারিক ধারা থেকে সরে এসেছিলেন। নিজেকে নিরীশ্বরবাদী বলে দাবি করা অ্যালেকের কোনও নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাসও ছিল না।
নিজের হাতে একটু একটু তিনি তৈরি করেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা লিন্টাস-কে। বিজ্ঞাপন সংস্থার এই প্রাণপুরুষের হাতে তৈরি হয়েছে একশোটিরও বেশি ব্র্যান্ড। অ্যালেক পদমসি মানেই লিরিল গার্ল, চেরি ব্লসম শু পলিশের চার্লি চ্যাপলিন অ্যাড, সার্ফের সেই ললিতাজি ক্যাম্পেন, হামারা বাজাজের মতো মনে থেকে যাওয়া সব বিজ্ঞাপন। ভারতীয় বিজ্ঞাপন জগতে ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
যে আমুলের বিজ্ঞাপন আজও সাড়া ফেলে গোটা দেশে, সেই আমুলের বিজ্ঞাপনে সমসাময়িক বিষয় ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন তিনিই। ভারতীয় বিজ্ঞাপনী জগতে প্রবাদপ্রতিম হিসেবে পরিচিত অ্যালেকের ঝুলিতে রয়েছে অজস্র জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন। যার মধ্যে অন্যতম আশির দশকের গোড়ায় লিরিল সাবানের বিজ্ঞাপন। ঝর্নার জলে স্বল্প বসনা মেয়ের স্নান তখন ভারতীয় টেলিভিশনে ঝ়ড় তুলেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy